হিজবুল্লাহর ওপর হামলার পর যোগাযোগযন্ত্র নিষিদ্ধ করেছে ইরান

ইরানের এলিট রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) তাদের সকল সদস্যকে কমিউনিকেশন ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। গত সপ্তাহে লেবাননের হিজবুল্লাহর হাজার হাজার পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরিত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স দুজন উচ্চপদস্থ ইরানি নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইআরজিসি একটি বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে, যেখানে শুধু যোগাযোগ যন্ত্রপাতি নয়, সব ধরনের ডিভাইসই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তারা জানিয়েছেন, অধিকাংশ ডিভাইস ঘরোয়াভাবে তৈরি নইলে চীন ও রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে।

ইসরায়েলি গুপ্তচরদের অনুপ্রবেশ নিয়ে ইরান উদ্বিগ্ন এবং ইতোমধ্যে আইআরজিসির মধ্য ও উচ্চ পদস্থ সদস্যদের বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছে জানিয়ে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, 'তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পরীক্ষা, পাশাপাশি তাদের ও তাদের পরিবারের ভ্রমণ ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত থাকবে। '

এর আগে, গত মঙ্গলবার হিজবুল্লাহর শক্তিশালী অঞ্চলে পেজার ডিভাইসগুলো এবং বুধবার ওয়াকিটকি বিস্ফোরিত হয়। এ হামলায় ৩৯ জন নিহত এবং ৩ হাজারের বেশি মানুষ আহত হন।

লেবানন ও হিজবুল্লাহর দাবি, এই হামলার পেছনে ইসরায়েল রয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে ইসরায়েল এখনো মুখ খোলেনি।

বর্তমানে আইআরজিসির ১ লাখ ৯০ হাজার সদস্য কীভাবে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করছে তা নিয়ে বিস্তারিত না জানালেও ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, বর্তমানে আমরা মেসেজিং সিস্টেমে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহার করছি।

ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, ইরানের শাসকগোষ্ঠীর মধ্যে বর্তমানে ব্যাপক উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। আইআরজিসি কর্মকর্তারা প্রযুক্তিগত মূল্যায়নের জন্য হিজবুল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন এবং বিস্ফোরিত ডিভাইসের বেশ কিছু উদাহরণ তেহরানে ইরানি বিশেষজ্ঞদের জন্য পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে।

news24bd.tv/SHS