ফ্যাসিষ্ট সরকারের রক্তচক্ষুর কাছে মাথানত করেননি রুহুল আমিন গাজী: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে বিএনপি।

আজ মঙ্গলবার এক শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, দেশের স্বনামধন্য সিনিয়র সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী'র মৃত্যুতে আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। সাংবাদিকতা জীবনে তাঁর মতো একজন নির্ভিক সাংবাদিকের পৃথিবী থেকে চিরবিদায় দেশবাসীর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকার কর্তৃক গণতন্ত্র হরণ ও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের গণবিরোধী আচরণের বিরুদ্ধে তিনি সবসময়ই ছিলেন সোচ্চার। সাংবাদিকতার পেশাগত দায়িত্ব পালনে বরাবরই তিনি ছিলেন নির্ভীক ও দ্বিধাহীন। অবৈধ সরকারের রক্তচক্ষু'র কাছে তিনি কখনোই মাথানত করেননি। সরকারি ক্রোধের পরোয়া না করে গণতন্ত্রের পক্ষে তাঁর উচ্চারণ ছিল শাণিত ও সুস্পষ্ট। রুহুল আমিন গাজী'র মৃত্যুতে দেশবাসী ও তাঁর পরিবার-পরিজনদের মতো আমিও গভীরভাবে মর্মাহত ও বেদনার্ত হয়েছি।

তিনি বলেন, আমি মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার, আত্মীয়স্বজন, স্বতীর্থ ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি, দৈনিক সংগ্রাম-এর চিফ রিপোর্টার ও বিশিষ্ট সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী পান্থপথের বিআরবি হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত্যৃকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।

রহুল আমিন গাজী দীর্ঘদিন ধরেই কিডনি জটিলতা, উচ্চ ডায়াবেটিক, ব্যাক পেইন, লবণ ঘাটতিসসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

তার পরিবারের সদস্যরা জানান, রোববার রাত পৌণে তিনটায় রুহুল আমিন গাজীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডে নিতে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে গেলে ফ্লাই করার অনুমতি না পেয়ে তাকে এয়ারপোর্ট থেকে আবার ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার দুপুরের পর তার অবস্থা বেশ সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে।

মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে দুই মেয়ে রেখে গেছেন।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রুহুল আমিন গাজীর প্রতি সাংবাদিকরা শেষ শ্রদ্ধা জানাবে ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে। সেখানে তার নামাজা জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে ঢাকায় শাহজাহানপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

news24bd.tv/তৌহিদ