পবিপ্রবিতে যত অনিয়ম হয়েছে, কমিশন গঠন করে তা তদন্ত করা হবে - উপাচার্য

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত যত অনিয়ম হয়েছে তা তদন্ত কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন সরকারে কাছে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  ড. কাজী রফিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন যোগদান করে এ মন্তব্য করেন তিনি। এরপর নিজ কার্যালয়ে যোগদানের পর শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, আমি এটাও শুনেছি এখানে মেধার অবমূল্যায়নের জন্য একজন মেধাবী শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। আমি এর পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। আমরা এই ১৫ বছরের যে ফ্যাসিস্ট নিপীড়ন অত্যাচার সহ্য করেছি, মুখ খুলে কথা বলতে পারি নাই সে অবস্থাটা যেন আর সামনে না আসে। আমরা সবাই যেন ঐক্যবদ্ধভাবে থাকতে পারি। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকতে পারি তাহলে আমাদের পতনের জন্য ১৫ বছর লাগবেনা, তার আগেই ঘটবে।

এর আগে বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ সচিব রোখছানা বেগম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভিসি নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম ১৯৯৪ সালে বাকৃবি ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম) পাস করেন। ১৯৯৮ সালে ফার্মাকোলজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করেন। পরবর্তী সময়ে ২০১১ সালে জাপানের কাগাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি, কাগাওয়া মেডিক্যাল বিশবিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি এবং নিউরোলজি বিভাগ থেকে পোস্ট ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।

কর্মজীবনে তিনি ২০০২ সালে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০৪ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১১ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৬ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ২২ আগস্ট ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। ফলে একাডেমিক কার্যক্রমসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি দপ্তর স্থবির হয়ে পড়ায় ভিসি নিয়োগের দাবিতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত ভিসি নিয়োগ হওয়ায় আনন্দিত শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

news24bd.tv/DHL