মুসলিম হয়েও ‌‌‘জাহান্নামী হবেন’ যারা

যারা আল্লাহর দ্বীনকে অস্বীকার করে। নবীর দেখানো পথকে অস্বীকার করে তারাই চিরস্থায়ী জাহান্নামী। এটি ইসলাম ধর্মে বলা আছে। এছাড়া যারা আল্লাহর দ্বীনকে একমাত্র দ্বীন মনে করে আল্লাহ খুশির জন্য ইবাদত করে তারাই জান্নাতি। এমন ধারণা আমাদের মধ্যে আছে। কিন্তু কে জান্নাতে যাবে আর কে জাহান্নামী এটা কেবল একমাত্র আল্লাহ জানেন। আবার এমন মানুষ আছে যারা আল্লাহর দ্বীনকে সারাজীবন অস্বীকার করে মৃত্যুর আগে কালেমা পড়ে মুসলমান হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে।

আবার ইমানদার ব্যক্তিও মৃত্যুর আগে বেঈমান হয়ে মারা গেছে। এমন দৃষ্টান্তও রয়েছে এ মহাজগতে।   প্রত্যেক মুসলমান তার কর্মকাণ্ডের ফল ভোগ করে একদিন না একদিন জান্নাতে যাবেন। তবে যেসব কাজের কারণে মুসলমানকে জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে। আসুন জেনে নেই সেগুলো-

আরও পড়ুন: সূরা যিলযাল ২ বার পড়লে যা হয়

১. হারাম খাদ্য ভক্ষণকারী জান্নাতে যাবে না ২. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে যাবে না ৩. প্রতিবেশীকে কষ্ট দানকারী জান্নাতে যাবে না ৪. মাতা-পিতার অবাধ্য সন্তান, দাইউস ও পুরুষের বেশ ধারণকারীণী জান্নাতে যাবে না ৫. অশ্লীলভাষী ও উগ্রমেজাজী জান্নাতে যাবে না ৬. অধীনস্থদেরকে ধোঁকাদানকারী শাসক জান্নাতে যাবে না ৭. অন্যের সম্পদ আত্মসাৎকারী জান্নাতে যাবে না

আরও পড়ুন: নারীরা কী কবর জিয়ারত করতে পারবেন?

৮. খোটাদানকারী, অবাধ্য সন্তান ও মদ্যপ জান্নাতে যাবে না ৯. চোগলখোর জান্নাতে যাবে না ১০. অন্য পিতার সাথে সম্বন্ধকারী জান্নাতে যাবে না ১১. গর্ব-অহংকারকারী জান্নাতে যাবে না ১২. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নাফরমান জান্নাতে যাবে না ১৩. দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে ইলম অর্জনকারী জান্নাতে যাবে না ১৪. অকারণে তালাক কামনাকারীণী জান্নাতে যাবে না ১৫. কালো কলপ ব্যবহারকারী জান্নাতে যাবে না ১৬. রিয়াকারী জান্নাতে যাবে না ১৭. ওয়ারিসকে বঞ্চিতকারী জান্নাত থেকে বঞ্চিত হবে

উপরে বর্ণিত সবগুলো কারণ সম্পর্কে হাদিসে বলা হয়েছে এবং এসব কাজ করলে মসুলমানকে জাহান্নামে কি শাস্তি পেতে হবে সে বিষয়েও সুষ্পষ্টভাবে বলা আছে। আসুন আমরা সবাই আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে ও পরকালে জান্নাত লাভের আশায় এসব কিছু করা থেকে নিজেকে বিরত রাখি।

আরও পড়ুন: সূরা আল আসরের এই তিন আয়াতের এত ফজিলত

news24bd.tv তৌহিদ