ধর্মানুভূতিতে আঘাত : অভিনেত্রী তিশাসহ চার জনকে আইনি নোটিশ

বিজয়া নাটকের মাধ্যমে সনাতনী সম্প্রদায়কে কটাক্ষ এবং ধর্মান্তরকরণ ও সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়ার অভিযোগে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশাসহ চার জনের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

আজ সোমবার লিটন কৃষ্ণ দাসের পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী সুমন কুমার রায়। অন্য তিনজন হলেন, অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ, রচনাকারী সালেহ উদ্দীন সোয়েব চৌধুরী (গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া নাম শোয়েব চৌধুরী) ও পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ ভুঁইয়া (গণমাধ্যমে প্রচার হওয়া নাম আবু হায়াত মাহমুদ)।

আরও পড়ুন:

অস্ত্র মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীর ২৭ বছরের কারাদণ্ড

নোটিশে আইনজীবী সুমন উল্লেখ করেছেন, ‘আমার মক্কেল বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া ও পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে জানিতে পেরেছেন আপনি শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে ‘বিজয়া’ নামে একটি নাটক নির্মাণ করেছেন। উক্ত নাটকের ট্রায়াল ভার্সন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হওয়ার সাথে সাথে লক্ষ লক্ষ সনাতনী সম্প্রদায় অত্যন্ত আগ্রহ সহকারে নাটকটি দেখার জন্য ব্যাকুল হয়েছিল। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, নাটকটি পর্যাবেক্ষণ করে দেখা যায় যে এ নাটকটিতে সুক্ষ্ম ও তিক্ষ্মভাবে সনাতন ধর্মাবলম্বী নারীদের চরিত্র হনন করা হয়েছে এবং সনাতন পুরুষদের মদ্যপ, নিষ্ঠুর আচরণকারী, অক্ষম ও উদাসীন হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। যার মাধ্যমে অত্যন্ত সুক্ষ্ম ও পরিকল্পিতভাবে পরকীয়া ও ধর্মান্তরকে উৎসাহিত করা হয়েছে।  

দুর্গাপূজা উপলক্ষে নির্মিত ‘বিজয়া’ নাটকটির ট্রায়াল ভার্সন ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে যা সারা বিশ্বের বিনোদনপ্রেমীদের নিকট থেকে সমালোচিত হয়েছে। ‘বিজয়া’ নাটকটির ট্রায়াল ভার্সন পর্যবেক্ষণ করে সারা বিশ্বের কোটি কোটি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা চরমভাবে হতাশ, মারাত্মক মর্মাহত আহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারই ব্যাপক ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।  

এ বিতর্কিত নাটকটি সনাতনী সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে সুপরিকল্পিতভাবে আঘাত করেছে। নাটকটিতে সম্প্রদায়িক মনোভাব স্পষ্ট। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিমধ্যে এ নাটকটি ট্রায়াল ভার্সন প্রত্যাহার ও নাটকটি সর্বমহলে বয়কটের দাবি উঠেছে।  

স্বজ্ঞানে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেওয়ার মানসে ও সনাতন ধর্ম অনুভূতিতে আঘাত আনার অভিপ্রায়ে পরস্পর যোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে এ বিতর্কিত নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় নোটিশে।

 

news24bd.tv কামরুল