আট চিকিৎসকের গবেষণাকে স্বীকৃতি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

মহামারি রুখতে হলে জনগণের মধ্যে সচেতনতার প্রসার জরুরি বলে বরাবরই জানিয়ে আসছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। শুধু নির্দিষ্ট কিছু নিয়মনীতি পালনের নির্দেশিকা জারি করলেই কাজ শেষ হবে না। এই বিষয়ে কলকাতার আট চিকিৎসকের একটি গবেষণা দেখিয়েছে, সচেতনতা কত দূর প্রসারিত হচ্ছে, তার জন্য নিয়মিত সমীক্ষা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া বা সমাজমাধ্যমকেই সমীক্ষার হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন তারা।  

ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।   

গত বছর মহামারীর শুরুতে লকডাউন ঘোষণার পরেই গবেষণা শুরু করেন পিয়ারলেস হাসপাতালের আট চিকিৎসক— শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক, সক্ষম পারোলিয়া, শুভম জানা, দেবারতি কুণ্ডু, সুজিত করপুরকায়স্থ, ‌কৃষ্ণাংশু রায়, নীনা দাস ও অশোককুমার মণ্ডল। শুভ্রজ্যোতি জানান, ১০টি প্রশ্ন ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়্যাটস অ্যাপের মাধ্যমে এক হাজার জনের কাছে পাঠানো হয়েছিল।   প্রশ্নগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। প্রথমত, কোভিড সম্পর্কে ধারণা কী। দ্বিতীয়ত, কোভিড প্রতিরোধ সম্পর্কে কী মনোভাব। তৃতীয়ত, উত্তরদাতারা কী কী সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

আরও পড়ুন:

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘর্ষ, ফের রণক্ষেত্র ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর

ইউরো ফাইনালে রেফারি হয়ে ইতিহাসে নাম লেখাতে যাচ্ছেন যিনি!

শুভশ্রীকে কটাক্ষ, কী জবাব দিলেন ‘রাজ ঘরনি’!

ড.শুভ্রজ্যোতি জানান, ৩৫৫ জন প্রশ্নগুলির উত্তর দেন। দেখা যায়, মূলত শহরাঞ্চলের বাসিন্দারাই উত্তর দিয়েছেন এবং তাদের মধ্যে কলকাতার বাসিন্দাই বেশি। উত্তরদাতাদের বেশির ভাগেরই বয়স ১৮-৩০ বছর। চিকিৎসকদের দাবি, একেবারে প্রাথমিক স্তরে শহরাঞ্চলের তরুণ প্রজন্মের মধ্যেই সচেতনতার বেশি প্রসার ঘটেছিল, ওই সমীক্ষায় সেটা উঠে এসেছে।

গবেষকদের মতে, তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তি ব্যবহারে বেশি দক্ষ হওয়ায় তারা অধিক সংখ্যায় উত্তর দিতে পেরেছেন। গ্রামাঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা তুলনায় কম বলেই সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে সচেতনতা কম।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

news24bd.tv রিমু