রাশিয়া যাচ্ছেন সামরিক জান্তা প্রধান

সংগৃহীত ছবি

রাশিয়া যাচ্ছেন সামরিক জান্তা প্রধান

অনলাইন ডেস্ক

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকার উৎখাতের পর ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এই সামরিক সরকারের বড় সমর্থক রাশিয়া। গত ৩ আগস্ট মিয়ানমার সফর করেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। অন্যদিকে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জেনারেলদের একঘরে করে রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো।

তাদের ওপর অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। পশ্চিমারা বলছে, বিরোধীদের ওপর সহিংস নিপীড়ন চালাচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। খবর এএফপি।

এই অবস্থায় অর্থনৈতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী সপ্তাহে রাশিয়া যাচ্ছেন মিয়ানমারের সামরিক জান্তার প্রধান মিন অং হ্লেইং।

শনিবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির সরকারি গণমাধ্যমের খবরে জান্তা প্রধানের রাশিয়া সফরের তথ্য জানানো হয়েছে।

এক বছর আগে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নেইপিদোর ক্ষমতায় আসা জান্তা ও গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের দায়ে মস্কো যখন বিশ্ব পরিমণ্ডলে কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার মুখোমুখি হয়েছে, তখন মিন অং হ্লেইংয়ের মস্কো সফরের এই খবর এলো।

দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার বলছে, রাশিয়ার ভ্লাদিভস্টক শহরে ইস্টার্ন ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেবেন মিন অং হ্লেইং। এই সম্মেলনে চীন, ভারত, জাপান, কাজাখস্তান ও অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার এবং দুই দেশের অর্থনীতি ও সরকারের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনে রাশিয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করবেন মিয়ানমারের সেনা জেনারেল।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হয়েছে মিয়ানমার। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে মিয়ানমারের সম্পর্কের অবনতিও ঘটেছে।

দেশের চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে কার্যকর কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের নেতারা চরম হতাশ। যে কারণে আগামী নভেম্বরে কম্বোডিয়ার নম পেন শহরে আসিয়ানের বৈঠকে মিয়ানমারের সেনা জেনারেলকে আমন্ত্রণ জানানোর সম্ভাবনা নেই।

অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। দেশটির জান্তা সরকার গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারীদের দমনে ব্যাপক দমনপীড়ন চালানোয় অর্থনীতিও স্থবির হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষক গোষ্ঠীর তথ্য অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর বিরোধীদের দমন অভিযানে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ২০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এ সময়ে দেশটির সামরিক বাহিনীর অন্তত এক হাজার ৬০০ সৈন্যও নিহত হয়েছেন।  
news24bd.tv/আলী