আফটার শেভ ব্যবহার ভালো না খারাপ?

আফটার শেভ ব্যবহার ভালো না খারাপ?

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

দাড়ি কাটার পর সুগন্ধি বা দামি আফটারশেভ ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু এর ফলে ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায় বলে এক রিপোর্টে প্রকাশ করা হয়!

আমাদের ব্যবহার করা প্রায় সব আফটার শেভ লোশনেই মূল উপাদান দুটি। একটি হলো স্পিরিট বা অ্যালকোহল। অপরটি সুগন্ধি।

এই স্পিরিট বা অ্যালকোহল কাজ করে অ্যাসট্রিনজেন্ট হিসেবে। দাড়ি কাটার পর এটি ব্যবহার করলে ত্বকে ঠাণ্ডা জ্বলুনির ভাব আসে এবং ত্বক টানটান মনে হয়। এছাড়াও আফটার শেভ লোশনে কড়া সুগন্ধি থাকায় অনেকে এটাকে পারফিউমের বদলে ব্যবহার করে থাকেন। তবে বাণিজ্যিক প্রচারের সময় প্রায় সব আফটার শেভ লোশন নির্মাণকারী সংস্থাই আফটারশেভকে জীবাণুনাশক হিসেবেই ব্যাখ্যা করে থাকেন।

কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে, আফটারশেভ ত্বকের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই করে বেশি!

একটি মার্কিন গবেষণার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, অ্যালকোহল আমাদের ত্বক শুষ্ক করে দেয়। পাশাপাশি এতে যে সুগন্ধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেটাও ত্বকের জন্য ভালো নয়। বিশেষ করে দাড়ি কাটার পর আমাদের ত্বক থেকে প্রাকৃতিক তেল চলে যায়। এ সময়ে এই আফটারশেভ ব্যবহার আসলে ত্বকের পক্ষে আরও ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।

গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালকোহলের মতো একটি উপাদান ত্বকে ব্যবহারের ফলে ত্বকে কাঁটাছেঁড়া থেকে সংক্রমণ (ইনফেকশন) হবার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়, এ কথা সত্যি। কিন্তু এটাও ঠিক যে এই অ্যালকোহলের ব্যবহারের ফলেই ত্বক অনেকটা শুষ্ক হয়ে যায়।

তাহলে কি আফটারশেভ ব্যবহার করা যাবে না?
মার্কিন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডক্টর টেরেন্স কিনির মতে, অবশ্যই যাবে। তবে ত্বক যদি সংবেদনশীল হয়ে থাকে তবে অ্যালকোহল-বেসড আফটারশেভ ব্যবহারে ত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ ক্ষেত্রে তাদের জন্য ডক্টর কিনির পরামর্শ হলো, ময়েশ্চারাইজার যুক্ত আফটারশেভ ব্যবহার। ময়েশ্চারাইজার যুক্ত আফটারশেভের ব্যবহারে ত্বকে ঠাণ্ডা জ্বলুনির অনুভুতি আসবে না। কিন্তু শেভ করার সময়ে ত্বক থেকে যে আর্দ্রতাটা চলে যায়, তা আবার ফিরে আসবে। এ ছাড়া এগুলোতেও সুগন্ধি থাকে তাই পারফিউমের প্রয়োজন হবে না।

কিছু কিছু আফটারশেভে এসেনশিয়াল অয়েল-এর ব্যবহার করা হয়। যেমন, টি ট্রি অয়েল। এগুলো অ্যাসট্রিনজেন্ট হিসেবে বিশেষ কার্যকর। এর পাশাপাশি ময়েশ্চারাইজার হিসেবে থাকতে পারে গ্লিসারিন বা অলিভ অয়েল। ত্বককে আরাম দেবার জন্য থাকতে পারে অ্যালোভেরার নির্যাস। আফটারশেভ কেনার সময়ে এসব উপাদান দেখে কেনা জরুরি। উপাদানের মধ্যে বিভিন্ন অ্যালকোহল, আর্টিফিশিয়াল কালার এগুলো থাকতে পারে যা ত্বকের জন্য হতে পারে অস্বস্তিকর। এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে আফটারশেভে ব্যবহৃত পারফিউমও আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই আফটারশেভ বুঝেশুনে কিনুন।

এছাড়াও বাড়িতে অ্যালোভেরা জেল বা অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করে দেখতে পারেন আফটারশেভের বদলে। উপকার পাবেন।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর