লিসবনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন

লিসবনে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

পর্তুগালের লিসবনের বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযথ মর্যাদায় গতকাল মঙ্গলবার এক উৎসবমুখর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠান পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশি নেতারা শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাণী পাঠ করা হয়।

পরবর্তীতে দূতাবাসের কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতাদের অংশগ্রহণে শহীদ শেখ রাসেলের জীবনের উপর এক আলোচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে আলোচকরা মত প্রকাশ করেন যে, যদি শেখ রাসেল বেঁচে থাকতেন, তবে জাতি একজন দূরদর্শী নেতা পেতো। বক্তারা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির হাতে শেখ রাসেলের নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন।

রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান তার বক্তব্যের শুরুতেই শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু তার প্রিয় শান্তিবাদী, প্রগতিশীল দার্শনিক ও নোবেল বিজয়ী লেখক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামানুসারে পরিবারের সবচেয়ে আদরের কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রাখেছিলেন 'রাসেল'।  বঙ্গবন্ধু বেশিরভাগ সময়ই পাকিস্তানি শাসকচক্র কর্তৃক কারাবন্দী থাকতেন বলে শেখ রাসেল তার শৈশবের অধিকাংশ সময় পিতার সান্নিধ্য হতে বঞ্চিত হয়েছেন।

রাষ্ট্রদূত গভীর দুঃখের সঙ্গে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে পরিবারের অনান্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ রাসেলের শহীদ হবার কথা স্মরণ করে বলেন, ১০ বছর বয়সী একটি বালককে হত্যা করতে যাদের হাত কাপলো না তাতেই বোঝা যায় স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল সেই খুনি চক্রটি কতটা নির্মম ও বর্বর ছিল।

সেই একই প্রতিক্রিয়াশীল চক্র এখনো দেশবিরোধী নানাবিধ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চাচ্ছে বলে রাষ্ট্রদূত সকলকে সতর্ক করেন এবং সবাইকে একসাথে তাদের প্রতিরোধের আহবান জানান। রাষ্ট্রদূত কামনা করেন, শেখ রাসেলের মত নিষ্পাপ আর সৎসাহসী মানুষ হিসেবে আজকের শিশুরা গড়ে উঠবে।  

আলোচনা সভাশেষে শেখ রাসেলের জীবনের উপর নির্মিত প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

সবশেষে, শহীদ শেখ রাসেলসহ জাতির পিতা, তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

news24bd.tv/সাব্বির