প্রসবের সময় সীমা বেঁধে দেয়ায় বিপাকে গর্ভবতীরা

প্রসবের সময় সীমা বেঁধে দেয়ায় বিপাকে গর্ভবতীরা

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রসবের সময় সীমা বেধে দিয়েছে পিরোজপুরের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সময় বেধে দেয়া হলেও অনেকেই আসেন বিকেলের পর। কিন্তু ওই সময়ে কোনো চিকিৎসক না থাকায় বিপাকে পড়েছেন সেখানের গর্ভবতীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে সিট রয়েছে ২০টি।

অথচ রোগী মাত্র একজন। পাশেই প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো ঠাসা গর্ভবতীদের চাপে। তবে সরকারি আর খরচ কম হওয়ায় সরকারি হাসপাতাল প্রসূতিদের প্রথম পছন্দ। কিন্তু হাসপাতালে সন্তান প্রসবের সময় সকাল ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বেধে দেয়ায় তারা পড়েছেন চরম বিপাকে।
কারণ ৩টার পরে দেখা মেলে না চিকিৎসক ও নার্সদের।

ভুক্তভোগী এমন একজন প্রসূতি বলেন, হাসপাতালে এসে দেখেন ডাক্তার নেই। তাকে ফোন দেয়া হলে তিনি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকের নাম বলে সেখানে যেতে বলেছেন। এমন আরেকজন বললেন, এখানে চিকিৎসার মান মোটেও ভালো নয়। এর থেকে একটা প্রাইভেট ক্লিনিকে মান অনেক ভালো। তাদের চিকিৎসা ও ব্যবহার দুটোই ভালো।

আরেক ভুক্তভোগী জানান, শুক্রবার তার ইমার্জেন্সি ডেলিভারির কথা ছিলো। কিন্তু মা ও শিশুকেন্দ্রে সেদিন কোনো চিকিৎসক ছিলেন না। পরে জানলাম শুক্রবার নাকি সেখানে কোনো সিজার হয় না। এরপরে বাধ্য হয়ে প্রাইভেট ক্লিনিকে চলে আসি।

অভিযোগ রয়েছে, সরকারি হাসপাতালে কাজ করে সময় দেন না চিকিৎসকরা। তারা এ সময়ে প্রাইভেট ক্লিনিকেই রোগী দেখেন। এ বিষয়ে সরকারের আশু দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন জানান, হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে। তারপরেও তারা সেবার মান বাড়াতে যথেষ্ট আন্তরিক। তিনি বলেন, আমাদের এখানে যথেষ্ট লোকবল নেই। রোগীদের দেখাশোনার জন্য মাত্র একজন ভিজিটর রয়েছেন। তার একার পক্ষে এত রোগী সামলানো সম্ভব নয়।

news24bd.tv/FA