রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের ১২ তলা আবাসিক ভবনের আগুন রোববার রাতেই নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিস। আজ সোমবার সকালে ভবনটির সামনে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। রাতেও পুড়ে যাওয়া ভবনটি দেখতে জড়ো হন কয়েকশ মানুষ।
জানা গেছে, আগুন লাগা ভবনের ভেতরে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ সদস্যরা এখনো কাজ করছেন।
আরও পড়ুন...দগ্ধ ৩ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে, গঠিত হচ্ছে মেডিকেল বোর্ড
রামপুরা থেকে আসা মোনায়েম হোসেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘ভেবেছিলাম আমরা যে জায়গায় কাজ করেছিলাম, সেখানে আগুন লেগেছে। তাই সকালেই দেখতে এলাম, ঠিক কোন ভবনে আগুন লেগেছে।
গুলশান এলাকায় থাকেন শাহানুর রহমান। নিরাপত্তার কারণে রাতে ভবনের কাছাকাছি আসতে দেয়নি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এ জন্য ঘটনাস্থলে আসতে পারেননি তিনি। শাহানরু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রাতে বের হইছিলাম। কিন্তু ভবনের কাছে আসতে দেয়নি। ভবনের অবস্থা দেখতে এখন এলাম। ’
আরও পড়ুন...অত্যাধুনিক ভবনে ভঙ্গুর অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা, যেভাবে আগুন লাগে
ফায়ার সার্ভিস ঢাকা জোন-৩-এর উপ-পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, ভবনটিতে ২৬টি ফ্ল্যাটে ২৩টি পরিবার বসবাস করে। সকালে তল্লাশি চালিয়ে কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।
রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান-২ নম্বরের ১০৪ নম্বর রোডের বহুতল ভবনে আগুন লাগে। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে ক্রমান্বয়ে তা বাড়তে থাকে। সর্বশেষ ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
আরও পড়ুন...গুলশানের আগুনে দগ্ধ এক নারী শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি
আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধারে যোগ দেন সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরাও। দীর্ঘ চার ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। আগুন লাগা ভবনে মোট ২৬টি ফ্লোর। সেখান থেকে নারী-শিশুসহ ২৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছেন ফায়ার ফাইটাররা। মারা গেছেন একজন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট পুড়ে গেছে।
আগুন নেভানোর পর মধ্যরাতেই ভবনটিকে পুলিশ ও মালিকপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
আরও পড়ুন...
গুলশানের আগুনে নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
গুলশানে আগুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
news24bd.tv/ইস্রাফিল
