তাপে পাকানো হয় কদবেল, নষ্ট হচ্ছে গুণাগুণ!

কদবেল

তাপে পাকানো হয় কদবেল, নষ্ট হচ্ছে গুণাগুণ!

মজুমদার মুকুল

ভিটামিন সি সম্বলিত অনেক গুণ আছে কদবেলে। তাপ ও মেডিসিন দিয়ে পাকানো হচ্ছে কদবেল; নষ্ট করা হচ্ছে এর গুণাগুণ। নগরীর কান্দিরপাড়ের আলী ম্যানসন ভেতরের খালি জায়গায় দিনের বেলায় রোদের তাপে মেলে রাখা হয় কদবেল। এই কদবেল ক্রেতা কিনে নিয়ে প্রতারিত হচ্ছে আমার কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে তাই লিখলাম।

news24bd.tv

কদবেলের গুণাগুণ:

১। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করে:- কদবেলের খনিজ উপাদান ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী। ডায়াবেটিসের আয়ূর্বেদী চিকিৎসায় কদবেল ব্যবহার হয়।

২।

গরম কম লাগে:- কদবেল শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্নায়ুর শক্তি যোগায়। তাই কদবেল খেলে গরম কম লাগে। ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে কদবেল মলম হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

৩। কিডনির জন্য ভালো:- কদবেল উদ্দীপক ও মূত্রবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা হয় আয়ূর্বেদ শাস্ত্রে। এ ফল নিয়মিত খেলে কিডনি সুরক্ষিত রাখে। প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা বিদ্যায় কিডনি সমস্যা দূর করার জন্য সেরা প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হতো কদবেল। ফলটি যকৃত ও হৃৎপিণ্ডের জন্যও বিশেষ উপকারী।

৪। পেপটিক আলসার ভালো হয়:- কদবেল পাতার রস পানির সঙ্গে নিয়মিত পান করলে পেপটিক আলসার দ্রুত ভালো হয়। আলসারের ক্ষত সারাতে তাজা কদবেল বেশ কার্যকরী।

৫। রূপচর্চায় কদবেল:- ব্রুণ ও মেছতায় কাঁচা কদবেলের রস মুখে মাখলে বেশ দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

৬। শ্বাসযন্ত্রের রোগে কদবেল:- কদবেল পাতার নির্যাস শ্বাসযন্ত্রের চিকিৎসায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দুধ-চিনির সঙ্গে কদবেলে পাতা মিশিয়ে এক ধরনের খাদ্য তৈরি হয়। এই রস শিশুদের পেট ব্যথার চিকিৎসায় চমৎকার কাজ করে।

৭। রক্ত পরিষ্কার করে:- কদবেল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। বুক ধড়ফড় এবং রক্তের নিম্নচাপ রোধেও সহায়ক। গুড় বা মিছরির সঙ্গে কদবেল মিশিয়ে খেলে শরীরের শক্তি বাড়ে এবং রক্তস্বল্পতা দূর হয়।

৮। পেট ভালো রাখে কদবেল:- কদবেলে রয়েছে ট্যানিন নামক উপাদান, যা দীর্ঘস্থায়ী ডায়রিয়া ও পেট ব্যথা ভালো করে। কাঁচা কদবেল ছোট এলাচ, মধু দিয়ে মাখিয়ে খেলে বদহজম দূর হয়।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর