মানবতাবিরোধী অপরাধে আজীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে-আমির দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (১৪ আগস্ট) সে রাতে হাসপাতালের দেয়াল, অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (বিএসএমএমইউ)।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগে রাত ৮টা ৪০ মিনিটের সময়ে দেলোয়ার হোসেন সাঈদীর মৃত্যুর সংবাদ প্রচারের সময় পরিস্থিতি শান্ত স্বাভাবিক ছিল।
অভিযুক্তরা জমায়েত, উচ্চস্বরে মিছিল-চিৎকার রোগী ও সেবা প্রদানকারীদের সেবা প্রদানে বাধা ও বিঘ্ন সৃষ্টি করে। ক্রমান্বয়ে তারা আরও উশৃংখল হতে থাকে এবং হাসপাতালের অবকাঠামোগত ক্ষতি করতে থাকে। হাসপাতালের গেট নং ২ (দুই) এর দেয়াল ভাঙ্গা, লিকুইড অক্সিজেন ট্যাংকের সীমানা প্রাচীর ক্ষতিগ্রস্ত করা, ব্রাকি থেরাপি ও ই-ব্লকের পাইপলাইন ভেঙে ফেলা, বাগানের গ্রিল উপড়ে ফেলাসহ জেনারেটর ভবনের সামনের ইট ভেঙে টুকরো টুকরো করে সেগুলো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের উপর ছুড়ে মারে।
সাঈদীর মৃত্যুতে স্ট্যাটাস দিয়ে চাকরি হারালেন শিক্ষক
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ওই রাতে অ্যাম্বুলেন্সসহ সরকারি ও বেসরকারি ৭টি গাড়ির ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে তারা। ফলে আরও ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় রোগী এবং সেবা প্রদানকারী চিকিৎসক নার্স কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকে। ডাক্তার, নার্স ও হাসপাতালের রোগীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি সম্পত্তি ও জান-মালের নিরাপত্তার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে হাসপাতালের পরিবেশ স্বাভাবিক করে।
উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মারা যান যান দেলাওয়ার হোসেন সাঈদী। এদিন রাত ৯টার পরে সংবাদ মাধ্যমে সাঈদীর মৃত্যুর খবর প্রকাশের সাথে সাথেই উত্তপ্ত হতে থাকে বিএসএমএমইউর পরিবেশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেখানে মোতায়েন করা হয় র্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের।
