ভিন্নমত সহ্য করতে না পারা আ.লীগের জন্মগত রোগ

সংগৃহীত ছবি

ডিএজি এমরান প্রসঙ্গে গয়েশ্বর 

ভিন্নমত সহ্য করতে না পারা আ.লীগের জন্মগত রোগ

অনলাইন ডেস্ক

ভিন্নমতকে সহ্য করতে না পারা আওয়ামী লীগের ‘জন্মগত রোগ’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার অপসারণের ঘটনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।  

শনিবার দুপুরে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।  জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে জিয়ার মাজারে যান গয়েশ্বর।

 

সম্প্রতি নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিপক্ষে একটি বিবৃতি দিতে অস্বীকৃতির কথা প্রকাশ্যে আনেন এমরান ভুঁইয়া। পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অপসারণ করা হয়।   

এ ঘটনায় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার মার্কিন দূতাবাসে আশ্রয় নেন। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর বলেন, এটা আওয়ামী লীগের নতুন রোগ নয়, জন্মগত  রোগ।

যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সমালোচনায় বিশ্বাস করে না, অন্যের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না তাদের আচরণ এর চেয়ে ভালো আশা করা যায় না। আর আজকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আশ্রয় চেয়েছে, অনেকে তো দেশ থেকে পালিয়ে বিদেশে আশ্রয় নিয়েছে। সুতরাং এটার নিন্দা করে লাভ নেই। গণতান্ত্রিক একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের এর পতন ঘটাতে হবে। সেই লড়াই আমরা করছি।

জিয়াউর রহমানের শাসনকালের প্রশংসা করে গয়েশ্বর বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝেও দেশের জনসংখ্যার ৮৭ শতাংশ মুসলমানদের দেশে সাহসিকতার সঙ্গে তিনিই প্রথম মহিলাদের সামরিক বাহিনীতে নেন, পুলিশ-আনসারে নিয়োগ দেন। তার আমলেই প্রথম মহিলা পাইলট হয়।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন নির্লোভ মানুষ। সামরিক বাহিনীর লোক হয়েও বিনা আন্দোলনে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। বহু দলীয় গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে এবং স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে নিশ্চিত রাখতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠন করেন।

জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে গয়েশ্বর আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অগ্রগতির জন্য প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি সৃজনশীল ও উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার নানা উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশে মহিলা মন্ত্রণালয় গঠন করেন এবং জাতীয় মহিলা সংস্থাও তিনি গঠন করেন। নারীদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে তাদেরকে দক্ষ করে গড়ে তোলেন। তারা যেন মেধা দিয়ে আত্মনির্ভরশীল থাকতে পারে সে ব্যাপারে নানা উদ্যোগ নেন। সেই উদ্যোগের অংশ বিশেষ আজকে পোশাকশিল্পে ৮০ শতাংশ নারী কাজ করে।
news24bd.tv/AA