যাত্রা করলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট

বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

যাত্রা করলো বিশ্বের সর্ববৃহৎ বার্ন ইনস্টিটিউট

নিউজ টোয়েন্টিফোর অনলাইন

রাজধানীর চানখারপুল এলাকায় নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’-এর উদ্বোধন করা হয়। বিশ্বের সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ উন্নততর চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকবে এখানে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘অাগুনে পোড়া কোনো মানুষকে যেন অার বিদেশ যেতে না হয় তার ব্যবস্থা করেছি।

শুধু অাগুনে পোড়া রোগী নয়, যে কোনো রোগীর চিকিৎসার জন্য সব ব্যবস্থা করছি। প্রয়োজনে ডাক্তার ও নার্সদের বিদেশ থেকে ট্রেনিং দিয়ে নিয়ে অাসবো। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাতে ১০ বছর সময় পেয়েছি পরিশ্রমও করছি। যে কারণে বাংলাদেশ অাজ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে।

বাংলাদেশকে বিশ্ববাসী এখন সম্মানের চোখে দেখে।

আগুনে পোড়াসহ বিভিন্নভাবে দগ্ধদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হলো জানিয়ে ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, এ ইনস্টিটিউট থেকে রোগীদের সর্বোত্তম সেবা দেওয়া হবে। অধিক পোড়ার রোগীকে চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ হবে এবং এখানকার প্লাস্টিক সার্জনরা দেশের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবেন। এই ইনস্টিটিউটে রোগী ভর্তি শুরু হবে আগামী জুন মাস থেকে। এছাড়া নতুন বার্ন ইনস্টিটিউট হেলিপ্যাড ও স্কিন ব্যাংকসহ রোগীদের চিকিৎসার সব অত্যাধুনিক সরঞ্জাম থাকবে।

বার্ন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে দুই একর জমির উপর ৯১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ অত্যাধুনিক এ বার্ন হাসপাতালটি উদ্বোধনের ফলে হাজার হাজার পোড়া রোগীর সুচিকিৎসার নবদিগন্ত উ্ন্মোচিত হলো। শুধু রোগীরা নন, তাদের পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্সদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এ প্রতিষ্ঠান।

১৮তলা বিশিষ্ট এ ইনস্টিটিউটটির মাটির নিচে তিনতলা বেজমেন্ট। সেখানে গাড়ি পার্কিং ও রেডিওলজিসহ আরও কয়েকটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিভাগ রাখা হচ্ছে। ইনস্টিটিউটটিতে ৫০০টি শয্যা, ৫০টি ইনসেনসিভ কেয়ার ইউনিট, ১২টি অপারেশন থিয়েটার ও অত্যাধুনিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড থাকবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল বারতলা বিশিষ্ট আধুনিক সকল চিকিৎসা সরঞ্জামসমৃদ্ধ এই ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। । এতে ৫০০ শয্যা, ৫০টি ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট এবং ১২টি অপারেশন থিয়েটার থাকবে।

সম্পর্কিত খবর