এই গ্রামের সবাই কী যমজ!

ফাইল ছবি

এই গ্রামের সবাই কী যমজ!

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চল অবস্থিত প্রত্যন্ত এই গ্রামের নাম ক্যানডিডো গডোই। সাত হাজার বাসিন্দার এই গ্রামটি অন্যান্য আট-দশটা গ্রামের মতো হলেও একটি কারণে এটি সবার থেকে আলাদা। সেটি হচ্ছে এখানে যজম শিশুর জন্মের হার অবিশ্বাস্য রকমের বেশি।

ব্রাজিলে যমজ শিশু জন্মের জাতীয় গড়ের চেয়ে এই গ্রামের হার ১০ গুণ বেশি।

তবে এই গ্রামে কেন এতো যমজ শিশুর জন্ম হয় তা কেউ জানে না।

প্রজনন বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞের একটি দল গত কয়েক বছর ধরে এই গ্রামটির ওপর গবেষণা করছে। রহস্য উদঘাটনে গবেষকরা গ্রামের লোকজনের ডিএনএ সংগ্রহ করছে এবং পরিবারগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছে।

বিবিসির প্রতিবেদকরা গ্রামটিতে গিয়ে বেশ কয়েকজন যমজের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং গ্রামের ইতিহাস জানার চেষ্টা করেছেন।

যমজ বোনদের একজন লুসিয়া গ্রোনিটজগি বলেন, এটা আমাদের জন্য খুব স্বাভাবিক। আমাদের স্কুলেও অনেক যমজ শিক্ষার্থী ছিল। আমাদের অনেক বন্ধুও যমজ ছিল, আমার চাচাতো ভাই-বোনেরা জমজ। তবে কেউ যদি যমজ না হয় তখনই দেখতে দৃষ্টিকটু লাগে। মনে হতো, এটিই ব্যতিক্রম।

কেউ জানেন না কেন এমনটা হয়। অনেকে মনে করেন এই গ্রামের পানিতে কিছু একটা আছে। যার কারণে যমজ হয়। তবে লুসিয়া বা তার বোন এটি মানতে নারাজ।

তারা বলেন, আমরা সত্যিই ভীত। আমাদের মনে হয় না পানিতে কিছু আছে। এটা ভালো গল্প হতে পারে, তবে আমরা বিশ্বাস করি না। প্রতি দুই বছর পর পর এই গ্রামটিতে শতাধিক যমজদের অনেক বড় উৎসবও অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রাজিলের ক্যানডিডো গডোই গ্রামেই কেবল যমজের জন্মের এই আশ্চর্য ঘটনা ঘটে না। ইউক্রেনের ভেলিকায়া কপানইয়া গ্রাম, নাইজেরিয়ার ইগবো ওরা গ্রাম এবং দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের প্রত্যন্ত কোডিনহি গ্রামেও এই অদ্ভূত ঘটনা ঘটে। এমনকি বিয়ের পর কোনও মহিলা এই গ্রামে এলে তিনিও যমজ সন্তান প্রসব করছেন।


NEWS24▐ কামরুল

সম্পর্কিত খবর