শ্বেতী একটি বিশেষ চর্ম রোগ। তবে এতে আক্রান্ত রোগীরা বেশির ভাগই মানসিক অবসাদে ভোগেন। অনেকে শ্বেতী আক্রান্তকে দেখলে আঁতকে ওঠেন। তবে শ্বেতী ভয়াবহ কোনও রোগ নয়।
শ্বেতী কী?
ত্বকে মেলানোসাইট কোষে থাকে মেলানিন। যা ত্বকের স্বাভাবিক রঙের ভারসাম্য রক্ষা করে। মেলানিনের ক্রিয়াকলাপে বাধা সৃষ্টি হলে দেখা দেয় শ্বেতী।
শ্বেতী কেন হয়?
শ্বেতী হওয়ার জন্য মেলানিনের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া যেমন দায়ি।
শরীরের কোন অংশে শ্বেতী হয়?
সাধারণত মুখমণ্ডল, কনুই, বুকেই প্রথমে শ্বেতী হয়। এছাড়া শ্বেতী চোখের পাশ দিয়ে, নাকের দুপাশে বা ঠোঁটের কোণ বা উপর দিয়েও হয়। কখনো শ্বেতী ছড়ায় না, একটা বিশেষ জায়গাতেই থাকে। আবার কখনও এমনভাবে মুখে, বুকে, হাতে, পায়ে ছড়িয়ে পড়ে যে বোঝাই না এক সময় গায়ের রং আসলে কী ছিল। ৫০ শতাংশ শ্বেতী ধরা পড়ে বয়স বছর দশেক হওয়ার পর।
শ্বেতীর চিকিত্সা?
শ্বেতী মলম বা ওষুধে সেরে যেতে পারে। চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী মলম লাগানো বা ওষুধ সেবনের পাশাপাশি সকাল বেলার রোদ লাগাতে হবে শ্বেতী-আক্রান্ত স্থানে। বড় আকারের শ্বেতী হলে মলম আর ওষুধে কাজ হতে প্রায় দুবছরের বেশি সময় লেগে যেতে পারে।
ওষুধে কাজ না হলে, চিকিত্সকের পরামর্শ অনুযায়ী অস্ত্রপচার করাতে হবে। শ্বেতীর চিকিত্সায় অস্ত্রপচারের নাম ‘পাঞ্চ গ্রাফটিং’।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যত অল্প বয়সে শ্বেতীর চিকিত্সা করা যায় তত ভালো। ডায়াবেটিস, হাইপার থাইরয়েড আক্রান্তদের শ্বেতীর প্রবণতা বেশি থাকে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)