টিচাররা আগে মারতেন শরীরে, এখন মারেন মনে: তসলিমা

তসলিমা-অরিত্রি

টিচাররা আগে মারতেন শরীরে, এখন মারেন মনে: তসলিমা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

বাংলাদেশে যে কোনো আলোচিত ঘটনা ঘটলেই তার পক্ষে-বিপক্ষে কথা বলেন ভারতে নির্বাসিত বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রী অরিত্রি অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় সোচ্চা হয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, ‌‘বাংলাদেশের শিক্ষকরা পড়াতে জানেন না’।

শুক্রবার তসলিমা তার ভেরিফায়েড পেজে এমন কথা বলেন।

তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যা কোনো নতুন ঘটনা নয়। শিক্ষকদের কারণে স্কুল থেকে ফিরে অনেক ছাত্রছাত্রীই আত্মহত্যা করে ‘ কীভাবে ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে হয় বাংলাদেশের শিক্ষকরা তা-ও জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

তিনি লেখেন- অরিত্রি অধিকারী নামে একটি ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে।

কারণ, পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিজের মোবাইল ফোন থেকে কিছু টুকেছিল বলে স্কুলের প্রিন্সিপাল তাকে পরীক্ষা দিতে দেননি, স্কুল থেকেও তাড়িয়ে দেবেন বলে দিয়েছিলেন।

অরিত্রির বাবা-মা স্কুলের প্রিন্সিপালকে অনেক অনুরোধ করেও সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করাতে পারেননি। ক্ষমা চেয়েও ক্ষমা পাননি। অরিত্রি ক্ষোভে যন্ত্রণায় লজ্জায় অপমানে আত্মহত্যা করেছে। এ কোনো নতুন ঘটনা নয়। টিচারদের কারণে স্কুল থেকে ফিরে অনেক ছাত্রছাত্রীই আত্মহত্যা করে।

‘আমাদের সময় টিচাররা শরীরে মারতেন। আজকাল টিচাররা মারেন মনে। দুটোই কিন্তু মার। কোনোটির যন্ত্রণা কিন্তু কোনোটি থেকে কম নয়’ লেখেন তাসলিমা।

তারা আসলে পড়াতে জানেন না বলেই মারেন। সভ্য পৃথিবীর কাছ থেকে আমরা কত কিছুই শিখছি। কী করে পড়াতে হয় এটা শিখছি না কেন?

সভ্য দেশগুলোয় বিশেষ করে উত্তর ইউরোপ বা উত্তর আমেরিকায় গিয়ে তো বাংলাদেশের টিচাররা শিখে আসতে পারেন কী করে পড়াতে হয়। অথবা ওখান থেকে টিচার হায়ার করে আনতে পারেন শেখানোর জন্য। ’

তসলিমা লেখেন, ‘স্কুল-কলেজে টিচারের চাকরি করা, আর ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষিত করা দুটো আলাদা জিনিস। কাউকে শিক্ষিত করতে হলে নিজে শিক্ষিত হতে হয়। যেটি আমাদের স্কুল-কলেজের অধিকাংশ টিচারই নন। ’

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর