যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় নির্মিত স্পারে ধস

সংগৃহীত ছবি

যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় নির্মিত স্পারে ধস

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় নির্মিত বানিয়াজান স্পারের স্যাংকের (ঢালু অংশ) প্রায় ২০ মিটার ধসে বিলীন হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) দুপুরের দিকে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।  

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বগুড়া কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন রোধে ২০০২ সালে প্রায় ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে বানিয়াজান গ্রামের কাছে আড়াআড়িভাবে ১ হাজার ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্পার নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ থেকে যমুনা নদীর ভেতরে ১ হাজার ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের মাটির তৈরি স্যাংক (বাঁধ) এবং বাকি ১৫০ মিটার অংশ পাকা করা হয়।

নদীতীরবর্তী এলাকায় যেন স্রোত আঘাত হানতে না পারে, এ জন্য স্পারটি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণের পর থেকে প্রতিবছর দফায় দফায় ভাঙনের কবলে পড়ে স্পারটি বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এদিকে তিন দিন ধরে যমুনার পানি বাড়তে শুরু করেছে।  

ফলে প্রবল স্রোতে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে স্পারের মাঝামাঝি স্থান থেকে মাটির তৈরি স্যাংকের প্রায় ২০ মিটার অংশ ধসে পড়ে।


স্পারটিতে ধস দেখা দেওয়ায় নদীতীরের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন বাবু জানান, হঠাৎ করে বানিয়াজান স্পারের মাটির তৈরি স্যাংকের প্রায় ২০ মিটার অংশ ধসে নদীতে বিলীন হয়েছে। ভাঙনস্থলে সিসি ব্লক ও জিও ব্যাগ দিয়ে ধস রোধ করা প্রয়োজন। দ্রুত মেরামত না করলে পুরো স্পার ভাঙনের শঙ্কা রয়েছে। এছাড়া স্পারের ভাটির দিকে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়বে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বগুড়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিটন আলী বলেন, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির সঙ্গে আকস্মিকভাবে বানিয়াজান স্পারের স্যাংক ধসে গেছে। যমুনায় স্রোত ও পানি কম থাকায় স্পারটি ততটা ঝুঁকিপূর্ণ হবে না। তবে স্পারের এই ধস ঠেকানোর জন্য জরুরিভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার প্রস্তুতি চলছে।

news24bd.tv/কেআই