৭ জেলায় আঘাত হানতে পারে ‌‘রেমাল’

৭ জেলায় আঘাত হানতে পারে ‌‘রেমাল’

অনলাইন ডেস্ক

‘বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পর এটি খুব দ্রুত, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আঘাত হানতে পারে উপকূলে। খুব বেশি সময় এটি আমাদের দেবে না। ’

আজ শনিবার সন্ধ্যায় সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ সম্পর্কে এ তথ্য দেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান।

আজিজুর রহমান বলেন, ‘এটি বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত করতে পারে।

খুলনার সুন্দরবন থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সব উপকূলীয় জেলা এর আওতায় পড়বে। সুতরাং এখানে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও নোয়াখালী―এসব জেলা এর (ঘূর্ণিঝড়ের) আওতায় পড়বে। ’

শনিবার (২৫ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে যে গতিতে এগোচ্ছে তা অব্যাহত থাকলে এটি আগামীকাল রোববার রাত ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে উপকূলে আঘাত করতে পারে।

সমুদ্রবন্দরগুলোতে এখন ৩ নম্বর সতর্কসংকেত রয়েছে। (সন্ধ্যা বা রাতে) ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে গেলে তখন এর অবস্থা অনুযায়ী সতর্কসংকেতেও পরিবর্তন আসবে।

ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলে আঘাতের আশঙ্কাই বেশি। তবে এর বড় অংশই বাংলাদেশের উপকূলের ওপর দিয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের বেশির ভাগ অংশ বাংলাদেশ পাবে। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ৩০ ভাগ যদি ভারত পায়, বাংলাদেশ পাবে ৭০ ভাগ। ’

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সারা দেশে ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। ২৪ ঘণ্টায় ৩০০ থেকে ৩৫০ মিলিমিটার বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সারা দেশে একরকম বৃষ্টি হবে না।

উপকূলীয় এলাকায়, বিশেষ করে চট্টগ্রাম, বরিশাল ও নোয়াখালী জেলায় বৃষ্টি বেশি হবে'. জানান তিনি।

আরও পড়ুন: বন্দরে এক থেকে লাফিয়ে ৩ নম্বর সংকেত, ১০ ফুট জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা

আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: উপকূলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

news24bd.tv/তৌহিদ