অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মণ আর নেই

অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মণ

অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মণ আর নেই

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মণ আর নেই। বুধবার (৫ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ডালেম চন্দ্র বর্মণের ছেলে অংশুমান বর্মণ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মণের বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

মৃত্যুর পর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ বেলা দুইটায় নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সামনে অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মণের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁর সতীর্থ, সহকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। ডালেম চন্দ্র বর্মণের ছেলে অংশুমান বর্মণ গণমাধ্যমকে জানান, অস্ট্রেলিয়ায় থাকা পরিবারের অন্য সদস্যরা আগামীকাল পৌঁছানোর পর তাঁর বাবার মরদেহ আগামী শুক্রবার সকালে গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নিয়ে যাওয়া হবে।

সেখানেই শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।

অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মণের মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এস এম মাকসুদ কামাল। শোকবার্তায় উপাচার্য বলেছেন, দেশে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিশেষ করে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন শিক্ষার প্রসার ও গবেষণায় এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্য এই খ্যাতিমান শিক্ষক স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

শোকবার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, ডালেম চন্দ্র বর্মণ ছিলেন একজন সজ্জন, নম্র ও বিনয়ী মানুষ। জনপ্রিয় এই শিক্ষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ এবং শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগে দীর্ঘকাল শিক্ষকতা করেছেন।

অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসরে যাওয়ার পর বেসরকারি আশা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত এই শিক্ষকের অনেক গবেষণা প্রবন্ধ দেশ–বিদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

স্বজনেরা জানিয়েছেন, অধ্যাপক ডালেম চন্দ্র বর্মণ কয়েক বছর ধরে পারকিনসনস রোগে ভুগছিলেন। এরপর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকার্যকর হতে শুরু করে।

হিরেন পণ্ডিত নামে ডালেম চন্দ্র বর্মনের একজন ছাত্র ফেসবুকে লিখেছেন, ‘স্যারের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আশা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুবার গিয়েছি কথা হয়েছে, একদিন গিয়ে শুনলাম, উনি একজনকে বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু তাঁকে গাড়ির সুবিধা দেয়, তাই বেতনের সাথে যে যোগাযোগ ভাতা দেওয়া হচ্ছে, সেটি যেন কেটে রাখা হয়। আপনার সততা আমাদের সবসময় মুগ্ধ করেছে, স্যার আপনার মতো মানুষের এ সমাজে বড় প্রয়োজন। ’

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর