জয়ের নায়ক হতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ

সংগৃহীত ছবি

জয়ের নায়ক হতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম জয়ের স্বাদ পেতে শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১১ রান। এক পর্যায়ে তা দাঁড়ালো দুই বলে ৬ রানে। এমন সময় ফুল টস দেন কেশব মহারাজ, সজোরে ব্যাট চালান মাহমুদউল্লাহ। তবে পারলেন না; বলটি সীমানাছাড়া করতে ব্যর্থ হয়ে ধরা পড়লেন তিনি।

আর এ সঙ্গে জয়ের সম্ভাবনা কার্যত শেষ হয়ে গেল।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের খুব কাছে গিয়েও মাত্র ৪ রানে হেরে হৃদয় ভাঙল টাইগারদের। এর ফলে টানা তিন জয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপের প্রথম দল হিসেবে শেষ আট নিশ্চিত করল প্রোটিয়ারা। আর বাংলাদেশের ভাগ্য ঝুলে রইল সামনের দুই ম্যাচের জন্য।

১৭ ওভারে ৪ উইকেটে ৯৪ রান করে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ১৮ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ২০ রান। ৩৭ ও ১৬ রানে ব্যাটিংয়ে ছিলেন তাওহিদ হৃদয় ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাদের ব্যাটেই জয় দেখছিল বাংলাদেশ।

কিন্তু ১৮তম ওভারের প্রথম বলেই তাওহিদ হৃদয়কে ফেরান কাগিসো রাবাদা। সেই ওভারে মাত্র ২ রানে এক উইকেট নেন প্রোটিয়া তারকা। ৩৭ বলে দুই চার আর দুই ছক্কায় ৩৪ রান করে হৃদয় আউট হলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।  

তখন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দিকে তাকিয়ে ছিল পুরো দেশ। আশা ছিল আগের ম্যাচের মতো এদিনও তিনি দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাবেন।

১২ বলে প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। ১৯তম ওভারে ৭ রানের বেশি করতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ ও জাকেরআলি অনিক। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল মাত্র ১১ রান।

কেশব মহারাজ প্রথম বলেই ওয়াইড দেন। পরের বলে সিঙ্গে নিয়ে প্রান্ত বদল করেন মাহমুদউল্লাহ। দ্বিতীয় বলে ডাবল রান নেন জাকের আলি। তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন জাকের আলি অনিক।

জয়ের জন্য ৩ বলে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। চতুর্থ বলে সিঙ্গেল রান নেন রিশাদ হোসেন। ২ বলে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দিয়ে হাতাশ হয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ। তার বিদায়ে জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে যায় বাংলাদেশের।  

শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ৬ রান। বাংলাদেশ এক রানের বেশি করতে পারেনি। ৪ রানের জয়ে সুপার এইটের পথে একধাপ এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।

এই ম্যাচ হেরে শেষ আটে উঠতে তাই আগামী ১৩ ও ১৬ জুন যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস ও নেপালের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের সামনে।

news24bd.tv/কেআই