পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

নোয়াখালী প্রতিনিধি 

স্বামীর পরকীয়ায় বাধা ও প্রতিবাদ করায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার পর থেকে পরকীয়া আসক্ত ঘাতক স্বামী পলাতক রয়েছেন।    

নিহত ফারজানা আক্তার (২২) সুবর্ণচর উপজেলার চরবৈশাখী গ্রামের বসির উল্যার মেয়ে।  

আজ শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরের দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরকলমি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা বসির উল্যাহ অভিযোগ করে বলেন, ৫-৬ বছর আগে কোম্পানীগঞ্জের চর এলাহি চরকলমি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের বড় ছেলে জহিরুল ইসলামের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। জহির স্থানীয় বাজারে স্টিলের আলমারির ব্যবসা করেন। ব্যবসার সুবাদে তার দোকানে আসা একাধিক নারী গ্রাহকের সঙ্গে সে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফারজানা স্বামীর মোবাইলে একটি মেয়ের সাথে তার যৌথ ছবি দেখতে পান। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে স্বামী ফারজানাকে মারধর করে।  

নিহতের বড় ভাই খবির উদ্দিন বলেন, জহিরের একাধিক পরকীয়ার ঘটনা তারা সমাধান করেছেন। গতকালও তারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেছেন। কিন্তু স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি আমাদেরকে জানানোর কারণে স্বামীসহ পরিবারের অপর সদস্যরা তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো.আব্দুস সুলতান সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্বামী অন্যত্র এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া করত। স্বামীর মোবাইলে এসব ছবি দেখে ফেলে স্ত্রী। ওই ঘটনার জের ধরে স্বামী স্ত্রীকে চড়-থাপ্পড় দেয় ও মারধর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে পাঠায়।  

ওসি তদন্ত আব্দুস সুলতান আরও বলেন, পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

news24bd.tv/SHS 

এই রকম আরও টপিক