এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি গ্রেপ্তারে হেলিকপ্টারে পাহাড়ে অভিযান 

হেলিকপ্টারে অভিযান ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ

এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি গ্রেপ্তারে হেলিকপ্টারে পাহাড়ে অভিযান 

অনলাইন ডেস্ক

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই পলাতক আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে গ্রেপ্তারে চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি পাহাড়ি অঞ্চলে অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে হেলিকপ্টারে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে ডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।  

আজ বুধবার (২৬ জুন) বেলা ৩টা ৩৩ মিনিটে ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানায় ডিবির একটি সূত্র। তারা জানায়, অন্যতম দুই পলাতক আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজ গ্রেপ্তারের পর হেলিকপ্টার যোগে ঢাকায় আনা হচ্ছে।

পূর্বাচল বা রাজারবাগ তাদের নামানো হবে। তবে বিকাল ৪টা ৩৯ মিনিটে ডিবির পক্ষ থেকে ফের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত নয় বলে জানানো হয়।  

এদিকে, আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে নিয়ে হত্যার আলামত ও মোবাইল ফোন উদ্ধারে অভিযান চালচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার (২৬ জুন) দুপুর ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পুলিশের ভ্যানে নিয়ে আসা হয় শহরে।

পরে তাকে পায়রা চত্বর সংলগ্ন গাঙ্গুলি হোটেলের পেছনে একটি পুকুরের কাছে নিয়ে যায় পুলিশ। সে সময় পুকুরপাড়ে দাঁড়িয়ে বাবুর কাছ থেকে শুনে জেলেদের নামিয়ে অভিযান চালানো হয়।

অভিযান শেষে দুপুর ১টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্ত্বর এলাকায় হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনারী, অর্থ যোগানদাতা ও কিলিং মিশনে অংশ নেওয়া অনেককে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছি। হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মুস্তাফিজ ও ফয়সাল নামে আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন এলাকায় আমাদের অভিযান চলছে। ’
 
তিনি আরও বলেন, ‘মোস্তাফিজ ও ফয়সালকে গ্রেপ্তারে গতকাল যশোরে অভিযান চালানো হয়েছে। আজ চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালাবো। মোস্তাফিক এবং ফয়সাল যেখানেই থাকুক তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। ’

ডিবি প্রধান বলেন, ‘এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের ওপর কোনো মহলের চাপ নেই। ’ 

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার। ভারতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন তিনি। পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন আনার। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের বরাহনগরের বন্ধুর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পাঁচদিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলেনি তিনবারের এই সংসদ সদস্যের।

চারদিন পর হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পাশের নিউটাউন এলাকায় সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। তবে সেখানে মরদেহ মেলেনি।
news24bd.tv/আইএএম