বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর অন্যতম প্রধান দোসর ও বাঙালি গণহত্যা ও বুদ্ধিজীবী হত্যার দায়ে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত চৌধুরী মুঈনুদ্দীন সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের শীর্ষ আদালত থেকে একটি আদেশ পেয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, মুঈনুদ্দীনকে যুদ্ধাপরাধী বলায় সেই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি যে মানহানি মামলা দায়ের করেন তার শুনানি চলতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে যুদ্ধাপরাধী হিসেবে উল্লেখ করে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের তার ফৌজদারি অপরাধের বর্ণনা যুক্ত করা হয়। তখনকার ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল প্রতিবেদনটি টুইটারে (বর্তমানে এক্স) শেয়ার করেন।
এতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ৬০ হাজার পাউন্ড ক্ষতিপূরণ চেয়ে মানহানি মামলা করেন বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধী এই আল-বদর নেতা।মামলাটি ব্রিটিশ হাই কোর্টে খারিজ হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়। গত ২০ জুন আদালত অভিযোগটি আমলে নেয় এবং মুঈনুদ্দিনকে মামলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয় । সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মনে করে, যুক্তারাজ্য বা অন্য কোনো দেশের আদালতের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়।
এই আদেশকে হালকাভাবে দেখা বা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়জন কৃতী শিক্ষক, ছয়জন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও তিনজন চিকিৎসকসহ ১৮ জন শীর্ষ বুদ্ধিজীবীকে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আল বদর নেতা আশরাফুজ্জামান খান ও চৌধুরী মুঈনুদ্দীনকে দোষী সাব্যস্ত করে। তাদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। রায়ের পরে ইন্টারপোলে তাদের নামে রেড নোটিশ জারি করা হয়। কিন্তু আজও পর্যন্ত তাদের প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়নি।
সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম এই দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীকে দেশে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ইসলামী ছাত্রসংঘের এই দুই নেতা দেশ ত্যাগ করেন। আশরাফুজ্জামান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান দেশ ত্যাগ করেন। আশরাফুজ্জামান করছেন। চৌধুরী মুঈনুদ্দীন ১৯৮৪ সালে যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব লাভ করেন।
news24bd.tv/DHL