ডেভিড মিলারের ক্যাচ নিয়ে যা বললেন প্রোটিয়া অধিনায়ক

সংগৃহীত ছবি

ডেভিড মিলারের ক্যাচ নিয়ে যা বললেন প্রোটিয়া অধিনায়ক

অনলাইন ডেস্ক

শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনাল ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। উইকেটে ছিলেন ডেভিড মিলার। মোমেন্টাম প্রোটিয়াদের পক্ষে না থাকলেও ফর্মে থাকা মিলারের জন্য এই রান নেয়াটা খুব অসম্ভব ছিল না।

প্রথম বলেই হার্দিক পান্ডিয়াকে উড়িয়ে মারেন তিনি।

বাউন্ডারি লাইনের ঠিক সামনে থেকে অনবদ্য এক ক্যাচ নিয়ে মিলারকে আউট করেন সূর্যকুমার যাদব। ওই ক্যাচটা আউট না হয়ে ৬ হলে ম্যাচের ফলাফল বদলে যেতে পারত। এমনকি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়নও বদলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

তাই এই ক্যাচটিকেই অনেকে বলছেন ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। কিন্তু সূর্যের এই ক্যাচ নিয়ে আছে অনেক বিতর্ক।  

শেষ ওভারে ওই ক্যাচটি নেয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সীমানার বাইরে চলে যান সূর্য। তবে যখন তিনি সীমানার বাইরে ছিলেন ওই সময় বল তার হাতে ছিল না। সীমানার বাইরে যাওয়ার আগে বল শূন্যে তুলে দিয়ে ফের মাঠে ঢুকে ক্যাচটি নেন এই ক্রিকেটার। পরে রিপ্লে পরীক্ষা করে সেটিকে আউট বলে সিদ্ধান্ত দেন টিভি আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবরো। তবে এই আউটের সিদ্ধান্ত নিয়ে আছে অনেক বিতর্ক।
 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিভিউয়ের জুম করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বল হাতে থাকা অবস্থায় সূর্যকুমারের পায়ের কাছে কিছু একটা নড়ছে। সেটা কি সীমানা দড়িই ছিল? বেন কার্টিস নামে একজন ওই ভিডিওতে লিখেছেন, ‘এটা নিশ্চিত একবারের বেশি দেখা উচিত। এমনিই বলছি। বাউন্ডারির দড়ি মনে হচ্ছে সরে গিয়েছিল। ’
 
আরেকটা প্রশ্ন হলো- সীমানা দড়ি সরে গিয়েছিল কিনা। কয়েকটি ছবিতে দেখা যায়, সূর্যকুমার ক্যাচ ধরেছেন সাদা দাগে চিহ্নিত অংশ ও সীমানাদড়ির মধ্যখান থেকে। এক্সে রোহিত শঙ্কর নামে একজন লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য দুর্ভাগ্যজনক। দড়িটা মূল সীমানালাইন থেকে সরে গিয়েছিল। এটাই হলো বিষয়। ’
 
যদি দড়ি মূল সীমানালাইন থেকে সরে গিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আইন কী বলে? ক্রিকেটের অ্যালমানাকখ্যাত উইজডেন জানাচ্ছে, আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী ১৯.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সীমানা চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত কোনো কঠিন বস্তু যদি কোনো কারণে বিঘ্নিত (সরে যায়) হয়, তাহলে সীমানাটি তার আসল অবস্থানে আছে বলে বিবেচিত হবে। ’

এছাড়া ১৯.৩.২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সীমানা চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত কোনো কঠিন বস্তু যদি কোনো কারণে বিঘ্নিত (সরে যায়) হয়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব তা ঠিক করতে হবে। খেলা চলতে থাকলে বল ডেড হওয়ামাত্রই এ কাজ করতে হবে। ’

তবে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক এইডেন মার্করাম এটিকে কোনো বড় ইস্যু হিসেবে দেখছেন না। তিনি মনে করেন সিদ্ধান্তটা একটু দ্রুতই নেয়া হয়েছে। আম্পায়ার চাইলে আরেকটু সময় নিতে পারতেন। তবে এটাকে কোনো বড় বিষয় হিসেবে তুলে ধরতে চাননি তিনি।

মার্করাম বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমি এটা এখনও দেখিনি। দেখতে পারিনি। হ্যাঁ, রিপ্লে একটু দ্রুতই হয়েছে। অবশ্যই তারা বেশ নিশ্চিতই ছিল যে এটা আউট এবং এই কারণেই রিপ্লে দ্রুত দেখেছে। ’

news24bd.tv/কেআই