তুর্কি সালতানাতের শেষ শাসক ছিলেন সুলতান দ্বিতীয় আবদুল মজিদ। তিনি খলিফা আবদুল মজিদ নামেও পরিচিত। সুলতান দ্বিতীয় আবদুল মাজিদ ২৯ মে ১৮৬৮ ইস্তাম্বুলের বেশিকতাশ প্রাসাদে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি সুলতান আবদুল আজিজের পুত্র। ৪ জুলাই ১৯১৮ সালে সুলতান ষষ্ঠ মুহাম্মদ ক্ষমতাগ্রহণ করার পর দ্বিতীয় আবদুল মজিদকে তাঁর উত্তরসূরী ঘোষণা করা হয়। সুলতান মুহাম্মদ ছিলেন তাঁর চাচাত ভাই। ১ নভেম্বর ১৯২২ সুলতান ষষ্ঠ মুহাম্মদ ক্ষমতাচ্যুত হন এবং উসমানীয় সালতানাতের বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়। ১৯ নভেম্বর তুরস্কের জাতীয় সংসদ আবদুল মজিদকে খলিফা ঘোষণা করে। ২৪ নভেম্বর তিনি দ্বিতীয় আবদুল মজিদ নামধারণ করে ক্ষমতায় আরোহন করেন। ৩ মার্চ ১৯২৪ সালে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন এবং তুরস্ক থেকে সপরিবারে ফ্রান্সে নির্বাসিত হন। ফ্রান্সে নির্বাসিত সুলতানের আর্থিক সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন হায়দারাবাদের...
ভারতে যেভাবে তৈরি হয় শেষ তুর্কি সুলতানের সমাধি সৌধ
আলেমা হাবিবা আক্তার
যারা আল্লাহর কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য
মাইমুনা আক্তার
পৃথিবীতে দুই ধরনের মানুষ আছে, একদল আল্লাহর কাছে প্রিয় সম্মানিত। আর অন্য দল মহান আল্লাহর কাছে নিকৃষ্ট ও ঘৃণিত। যারা আল্লাহর প্রিয় ও সম্মানিত, তারাই প্রকৃত সম্মানিত ও ভালো মানুষ। আর যারা আল্লাহর কাছে ঘৃণিত ও নিকৃষ্ট, তারাই প্রকৃত নিকৃষ্ট মানুষ। এই ভালো মানুষ আর খারাপ মানুষের মানদণ্ডও আল্লাহ তাআলা ঠিক করেছেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন, হে লোকসকল! তোমাদের আমি একজন পুরুষ ও একজন নারী হতে তৈরি করেছি, তারপর বিভিন্ন বংশ ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, তোমরা যাতে একে অন্যকে চিনতে পার। যে লোক তোমাদের মধ্যে বেশি পরহেজগার সেই আল্লাহ তাআলার কাছে বেশি মর্যাদার অধিকারী। আল্লাহ তাআলা সবকিছু সম্পর্কে জ্ঞাত, সব খবর রাখেন। (সুরা : হুজরাত, আয়াত : ১৩) অর্থাৎ, আল্লাহর কাছে কোনো ব্যক্তির মর্যাদাবান হওয়ার জন্য তার বংশ, ধন-সম্পদ, পেশি শক্তি ইত্যাদির কোনো মূল্য নেই। যদি তার ঈমান...
অমুসলিমদের সঙ্গে সামাজিক সুসম্পর্ক
আসআদ শাহীন
ইসলাম উত্তম চরিত্র ও উদারতার শিক্ষা দেয়। ইসলামী শরিয়া প্রতিবেশীর প্রতি উত্তম আচরণের নির্দেশ দেয়শুধুমাত্র মুসলিম প্রতিবেশীর জন্য নয়, বরং অমুসলিম প্রতিবেশীর প্রতিও এই বিধান প্রযোজ্য। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়। (সহিহ বুখারি, খণ্ড: ৫, পৃষ্ঠা ২২৪০, হাদিস : ৬০১৮) প্রতিবেশীদের অধিকারের ক্ষেত্রে ইসলামী বিধান ব্যাপক, তাতে মুসলিম ও অমুসলিম উভয়ই অন্তর্ভুক্ত। যেমন মুসলিম প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া নিষিদ্ধ এবং তাকে সুখে-দুঃখে সহায়তা করা উচিত, তেমনি অমুসলিম প্রতিবেশীর প্রতিও এই আচরণ প্রযোজ্য। একবার আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) একটি ছাগল জবাই করেছিলেন। তিনি তার দাসকে নির্দেশ দিলেন যেন প্রথমে প্রতিবেশীকে মাংস দিয়ে আসা হয়। তখন একজন বলল, তিনি তো ইহুদি! ইবনে উমর (রা.) জবাবে বলেন, ইহুদি হলেই বা কী?...
নামাজে যেসব দোয়া পড়া সুন্নত
মুফতি আতাউর রহমান
মহান আল্লাহ মানুষকে ধৈর্য ও নামাজের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা করতে বলেছেন। এখন প্রশ্ন হলো, নামাজের ভেতর নির্ধারিত দোয়ার বাইরে অন্য কোনো দোয়া করা যাবে বা আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চাওয়া যাবে? নামাজে দোয়া করার বিধান বিশেষজ্ঞ আলেমরা বলেন, নামাজের ভেতর বিভিন্ন ধরনের দোয়া পাঠের বিষয়টি হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাই নামাজের ভেতর দোয়া করা জায়েজ। তবে হানাফি মাজহাব অনুসারে মানুষের কথার সঙ্গে মিলে যায় এমন জাগতিক দোয়া নামাজ ভঙ্গের কারণ, সেটা ফরজ নামাজে হোক বা অন্য কোনো নামাজে। যেমনহে আল্লাহ! আমাকে অমুক সুন্দরী নারীর সঙ্গে বিয়ের ব্যবস্থা করুন, হে আল্লাহ! আমাকে অমুক মজাদার খাবার খাওয়ার তাওফিক দিন ইত্যাদি। নামাজে মানুষের কথার সঙ্গে মেলে না এমন পার্থিব ও অপার্থিব দোয়া করা জায়েজ। কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া পড়ার বিধান যেসব দোয়া রাসুলুল্লাহ (সা.) বিভিন্ন সময়ে নামাজে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত