কিছুদিন আগেও যে বাড়িতে ছিলো গণ্যমান্যদের পদচারণা, আজ সেই বাড়ি ফাকা। বাড়ির ভেতরে জ্বলছে না বাতি। বলা হচ্ছে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক আবেদ আলী ওরফে জীবনের (৬০) গ্রামের আলিশান বাড়িটার কথা।
মাদারীপুরের ডাসারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে আবেদ আলীর আলিশান বাড়িটি এখন শূন্য পড়ে আছে।
তবে মুখ না খুলতে পারলেও আবেদ আলীকে ঘিরে তার এলাকার মানুষের মাঝেও ছিলো নানা জল্পনা কল্পনা।
দেখা গেছে, ঘটনার পর স্থানীয়রা তার আলিশান বাড়িতে এসে ঢুঁ মারছেন দিনের বিভিন্ন সময়। কিন্তু বাড়িতে তালা ঝোলানো। বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার হলেও বাড়িতে পরিবারের অন্য কোনো সদস্য বা আত্মীয়-স্বজন কেউ নেই। বাতি জ্বলছে না আলিশান বাড়িতে।
আবেদ আলীর অবৈধ সম্পদের খোঁজ নিতে বেরিয়ে আসে তার নিজ গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নে প্রায় ১০ একরের বেশি জমি কিনেছেন তিনি। নানা বাড়ির থেকেও প্রায় এক একর জমি কিনে সেখানে নির্মাণ করেছেন তিন তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল একটি বাড়ি। বাড়ির পাশেই করেছেন মসজিদ, আমবাগান, গরুর খামার ও মার্কেট।
স্থানীয় ভূমি অফিসের তথ্য মতে, গত দুই বছর ধরে আঁটিপাড়া, পান্তাপাড়া, পশ্চিম বোতলাসহ বিভিন্ন মৌজায় প্রায় ১০ একরের বেশি ফসলি জমি কিনেছেন আবেদ। বেশিরভাগ জমি তিনি তার নিজ নামে নামজারি করেছেন। এছাড়াও তার স্ত্রী ও ছেলের নামেও জমি কিনেছেন।
জানতে চাইলে গণমাধ্যমে বালিগ্রাম ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা কবির হোসেন জানান, ‘আমি এখানে দুই বছর ধরে কাজ করছি। এই সময়কালের মধ্যে আবেদ আলী তার নিজের নামেই প্রায় ৫ একরের মত জমি নামজারি করেছেন। আগেপরে আরও জমি তিনি কিনেছেন। তার স্ত্রী ও সন্তানদের নামেও আলাদা জমি রয়েছে। ’
স্থানীয় এমন একজনের অভিযোগ, অসহায় হয়ে পড়ে ২৬ শতাংশ ফসলি জমি তিনি আবেদের কাছে ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন।
আবেদ আলীর বিষয়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান বলেন, ইতোমধ্যে আমরা তাকে নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছি। তার অবৈধ কোনো সম্পদ আছে কি না এবং সেগুলোর সঠিকভাবে ক্রয় ও কর দেওয়া হয়েছে কিনা এবং আইনের বাইরে কোনো অবৈধ সম্পদ গড়ে থাকে তাহলে আদালতে নির্দেশে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
