স্ত্রী ছিলেন শিক্ষা অধিদপ্তরে, স্বামী করতেন প্রশ্নফাঁস

স্ত্রী ছিলেন শিক্ষা অধিদপ্তরে, স্বামী করতেন প্রশ্নফাঁস

অনলাইন ডেস্ক

প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে গ্রেপ্তার ১৭ জনের মধ্যে একজন লক্ষ্মীপুরের রামগতির নোমান সিদ্দিকী। তাকে করা হয়েছে প্রশ্নফাঁস মামলার দ্বিতীয় আসামি। এক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে চাকরি করতেন তিনি। তবে সেই চাকরি থেকে অবসর নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মিলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো গুরুতর অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

নোমান রামগতি উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের চর মেহের গ্রামের মৃত আবু তাহের মিয়ার ছোট ছেলে। তার স্ত্রীর নাম সাফিয়া সুলতানা স্বর্ণা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বর্না ঢাকার মিরপুরে শিক্ষা অধিদপ্তরে চাকরি করতেন। বর্তমানে তিনি একজন গৃহিণী।

আরও পড়ুন: পিএসসির অফিস সহায়কের ফাঁস করা প্রশ্নে বিসিএস ক্যাডার হন তিনজন

তবে ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষা অধিদপ্তরে স্বর্ণা থাকাকালীন প্রশ্নফাঁসের মহাউৎসবে মেতে ওঠেন এই দম্পতি। ফলে ফুলে-ফেঁপে ওঠে তাদের সম্পদের পরিমাণ। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার সময় নোমানের তেমন কোনো সম্পদ না থাকলেও এখন ঢাকার একাধিক স্থানে আছে ব্যক্তিগত ফ্ল্যাট। এছাড়া চারটি ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থসহ তিনি অন্তত ৫০ কোটি টাকার মালিক বলে জানতে পেরেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন: মায়ের কারণে এবার প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে এলো তাহসানের নাম

২০০৭ সালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বিদ্যুৎ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিনের মেয়ে সাফিয়া সুলতানা স্বর্নাকে বিয়ে করেন নোমান। এরপর থেকে পরিবারের সঙ্গেও দূরত্ব বাড়ে তার।

নোমানের বিষয়ে তার ভাই ওমর ফারুক ও ভগ্নিপতির মেজবাহ উদ্দিন জানান, বিয়ের পর থেকে নোমান বাড়িতে কম আসে। তার বাবা আবু তাহের মারা যাওয়ার পর থেকে আসতো না বললেই চলে। যদিও আসতো পরিবারের অন্য কারো সঙ্গে যোগাযোগ বা কথা বলতো না। স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন।

তারা আরও জানান, গ্রামে বাবার সম্পত্তি ছাড়া তার ব্যক্তিগত কোনো কিছু নেই। তিনি কোনো সম্পদ অর্জন করে থাকে তা ঢাকায় ও তার স্ত্রীর এলাকায় হতে পারে। এর মধ্যে তার স্ত্রীর নামে সবচেয়ে বেশি সম্পদ হতে পারে। কারণ স্ত্রীর কথার বাইরে তিনি কোন কাজ করেন না। শিক্ষা অধিদপ্তরে চাকরির সুবাদে স্ত্রীর যোগসাজশে নোমান প্রশ্নপত্রের সঙ্গে জড়িত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসে বিসিএস ক্যাডারদের তালিকা করা হচ্ছে

ফারুক বলেন, চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর থেকেই সে অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। আমাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক প্রায় বিচ্ছিন্ন। এজন্য তার বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পেরেছি, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জড়িত থাকায় নোমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

প্রশ্নফাঁসকাণ্ডে গত সোমবার সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হন নোমান। এরপর অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকায় তার একাধিক গাড়ি, বাড়ি ও ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়া ব্যাংকে রয়েছে অঢেল টাকা।

news24bd.tv/SHS