যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১০ প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী গুলির শিকার হয়েছেন

গুলিবিদ্ধ ট্রাম্প

বেশিরভাগই মারা গেছেন

যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১০ প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী গুলির শিকার হয়েছেন

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে এখন একটাই প্রশ্ন, দেশটির প্রেসিডেন্ট এবং প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা বারবার গুলির শিকার হন কেন? অন্তত ১০জন গুলির শিকার হয়েছেন। বেশিরভাগই মারা গেছেন। অল্প কয়েকজন বেঁচে গেছেন। দেশটিতে এতো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কথা বলা হলে এতো হামলা হচ্ছে কেন?

এখনও সমাজবিজ্ঞানীরা মুখ খোলেননি।

তবে সাধারণ জনগণের মনে এ প্রশ্ন এখন গোটা যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে।  
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার একটি সভায় ভাষণের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। তার কানে লেগে তিনি রক্তাক্ত হয়েছেন। অল্পের জন্য বেঁচেছেন।
তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট। এবারও আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন।   যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্টকে গুলি করার ঘটনা এই প্রথম নয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকাকালে প্রথম নিহত হন আব্রাহাম লিঙ্কন। ১৮৬৫ সালের ১৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনে থিয়েটার দেখতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার ছ’মাসের মাথায় গুলিবিদ্ধ হন জেমস গারফিল্ড। তিনি ছিলেন সে দেশের বিশতম প্রেসিডেন্ট। ১৮৮১ সালের ২ জুলাই ওয়াশিংটনের একটি স্টেশনে ট্রেন ধরতে যাচ্ছিলেন। বুকে গুলি লাগে তাঁর। দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পর মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।

১৯০১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর  আমেরিকার ২৫তম প্রেসিডেন্টের ম্যাককিলান গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।  

১৯৩৩ সালে মায়ামিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে গিয়েছিলেন ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট। হুডখোলা গাড়ির পিছনে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। তাঁকে গুলি করা হয়েছিল। যদিও বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। ১৯৫০ সালে হোয়াইট হাউসের কাছে ব্লেয়ার হাউসে ছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হ্যারি এস ট্রুম্যান। সেই বাড়িতে ঢুকে গুলি চালান দু’জন। আমেরিকার ৩৩তম প্রেসিডেন্ট প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। এক আততায়ী এবং হোয়াইট হাউসের এক রক্ষী নিহত হয়েছিলেন।

১৯৬৩ সালের নভেম্বরে আমেরিকার ডালাসে জনসংযোগের জন্য গিয়েছিলেন ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জনএফ কেনেডি। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী জ্যাকিলন কেনেডি। হুডখোলা লিমুজিনে চড়ে জনসংযোগ করছিলেন তিনি। তাঁকে তাকে গুলি করা হলে মারা যান।  প্রেসিডেন্ট জেরাল্ড ফোর্ড, রোনাল্ড রিগান, জর্জ ডব্লিউ বুশকে  গুলি করা হয়েছিল। তাঁরা প্রাণে বেঁচেছিলেন। সূত্র, সিএনএন।

https://edition.cnn.com/2024/07/14/politics/trump-shooting-politics-analysis/index.html

news24bd.tv/ডিডি

এই রকম আরও টপিক