বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ: এসআই’র বিরুদ্ধে প্রেপ্তারি পরোয়ানা

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণ: এসআই’র বিরুদ্ধে প্রেপ্তারি পরোয়ানা

অনলাইন ডেস্ক

বগুড়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় একজন পুলিশের উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার (৩১ জুলাই) বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর এ আদেশ দেন।

অভিযুক্ত এসআই মিথুন সরকার বগুড়ার শেরপুর থানায় কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি শেরপুর জেলার সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের বয়ড়া পালপাড়া গ্রামে।

প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এক বছর আগে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে, বগুড়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।

বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) আশেকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিশ্চিত করতে আদালত থেকে বুধবার বিকেলেই বগুড়ার পুলিশ সুপার এবং রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজির কাছে আদেশের অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছর জুন মাসে বগুড়ার শেরপুর থানায় কর্মরত থাকাকালে এসআই মিথুন সরকারের সঙ্গে ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিচয় হয়। ধর্মপরিচয় গোপন করে এসআই মিথুন ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

গত বছরের ৩ জুন মেয়েটির জন্মদিনে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে শেরপুর উপজেলা শহরের খোন্দকারটোলা এলাকায় একটি বাসায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।

পরে ভুক্তভোগীছাত্রী বিষয়টি নিজের পরিবারকে জানায়। তখন তার পরিবার থেকে এসআই মিথুনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেই সময় মিথুন বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামলা থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। কিন্তু প্রতারণা বুঝতে পেরে ভুক্তভোগী ছাত্রী গত বছরের ১৭ আগস্ট বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে এসআই মিথুন সরকারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়ের হলে এসআই মিথুন সরকারকে প্রথমে শেরপুর থেকে আদমদীঘি থানায় বদলি করা হয়। এর দুই দিনের মাথায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মিথুন সরকারের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়।

বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান জানান, সাময়িক বরখাস্ত থাকা এসআই মিথুন সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি–সংক্রান্ত আদালতের আদেশ এখনো হাতে পাননি। আদালতের আদেশ পাওয়া মাত্র তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

news24bd.tv/জেপি/আইএএম