সাদা চাদরের নববধূর ‘সতীত্বের পরীক্ষা’কে মধ্যযুগীয় বর্বর প্রথা অবশেষে রাশ টানল ভারতের মহারাষ্ট্র সরকার।
প্রায় চার শতাব্দী ধরে চলে আসা গোটা সমাজের পক্ষে লজ্জাজনক এবং নারীর পক্ষে চূড়ান্ত অবমাননাকর এই রীতি অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানায়, রাজ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রঞ্জিত পাতিল জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে এই আদিম প্রথা এখনও চলে আসছে। তার মধ্যে পুণের পিঁপরীতে কঞ্জরভাট জনগোষ্ঠীর নাম সবচেয়ে আগে আসে।
অত্যন্ত অমানবিক ও লজ্জাজনক এই রীতির কারণেই সমাজের কাছে হেনস্ত হতে হয় নতুন বিবাহিতা স্ত্রীকে। সতীত্বের বৈধতা প্রমাণ করতে না পারলে তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতনও চালানো হয়। এই প্রথা বন্ধের জন্য বহুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব নানা গ্রুপ। এগিয়ে এসেছে রাজ্য মহিলা কমিশনও।ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়ালের খবর, কঞ্জরভাট সমাজে প্রায় ৪০০ বছর ধরে চলে আসছে এই রীতি। স্বামী-স্ত্রী না চাইলেও পরীক্ষা হবেই। পঞ্চায়েত মাতব্বরদের নিদান অগ্রাহ্য করার উপায় কারওর নেই। গত বছর এই রীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন কঞ্জরভাট জনজাতিরই এক দম্পতি বিবেক-ঐশ্বরিয়া। আর তাই শতাব্দী প্রাচীন অভিশাপ থেকে মুক্তি পেল কঞ্জরভাট নারীরা।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)