যুদ্ধ চায় না ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ, তবে প্রস্তুত উভয়েই

সংগৃহীত ছবি

যুদ্ধ চায় না ইসরায়েল-হিজবুল্লাহ, তবে প্রস্তুত উভয়েই

অনলাইন ডেস্ক

রোববার (২৫ আগস্ট) সকালে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, তারা লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে প্রায় ১০০ টি যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালিয়েছে।

ইসরায়েলের এই দাবি সঠিক হলে ২০০৬ সালে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধের পর এটি হবে লেবাননে ইসরায়েলের বৃহত্তম হামলা। অন্যদিকে হিজবুল্লাহ বলেছে, তারা রোববার সকালে উত্তর ইসরায়েলে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে ৩০০ টিরও বেশি রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

একটি বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, এই হামলা ৩০ জুলাই বৈরুতে একটি হামলায় সিনিয়র কমান্ডার ফুয়াদ শুকরকে হত্যার প্রতিক্রিয়ার প্রথম পর্যায় হিসেবে করা হয়েছে।  

এছাড়াও ইরানের রাজধানী তেহরানে হামলায় হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার পেছনে ইসরায়েল ছিল বলে বিশ্বাস করে হামাস-হিজবুল্লাহ। তখন থেকেই ইসরায়েল, হিজবুল্লাহ এবং ইরান উভয়ের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল।

কয়েক সপ্তাহ ধরে কূটনীতিকরা গাজার সঙ্কটকে বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতে পরিণত হওয়া থেকে এড়ানোর চেষ্টা করছেন।

কিন্তু এখনও কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসে নি।  তীব্র মার্কিন চাপ সত্ত্বেও, ১০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের যুদ্ধবিরতি চুক্তি আলোচনা অগ্রসর হয়নি।  

এদিকে হিজবুল্লাহ হামাসের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। অনুমান করা হয় যে তাদের কাছে প্রায় ১৫০,০০০টি রকেট রয়েছে, যার ভিতর কিছু ইজরায়েল জুড়ে লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে সক্ষম।
হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা, কেউ কেউ সিরিয়ার যুদ্ধে লড়েছে, এবং তারা হামাসের চেয়ে ভালো প্রশিক্ষিত এবং সজ্জিত।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, গাজা এবং লেবাননের সাথে তারা দুটি ফ্রন্টেই যুদ্ধ করতে প্রস্তুত।

তবে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহ নেতারা বলছেন, তারা আর একটি যুদ্ধ চান না। তবে উভয় পক্ষই এর জন্য প্রস্তুত রয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি। সূত্র: বিবিসি

news24bd.tv/এসএম

এই রকম আরও টপিক