মিয়ানমারে খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার জান্তা সরকারের

সংগৃহীত ছবি

মিয়ানমারে খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার জান্তা সরকারের

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ক্ষুধাকে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে চেকপয়েন্ট বসিয়ে, রাস্তা ও জলপথ বন্ধ করে এবং মানবিক সংগঠনগুলোকে প্রবেশের অনুমতি না দিয়ে ত্রাণ সাহায্য পৌঁছাতে বাধা দিচ্ছে জান্তা সরকার।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাতিসংঘের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, রাখাইনের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সহায়তা কর্মীরা সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

বর্তমানে রাখাইন রাজ্য সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী, আরাকান আর্মি (এএ) গত নভেম্বরে জান্তার সঙ্গে এক বছরের যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে রাখাইন রাজ্যের অন্তত ১০টি শহরতলীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

জান্তা সরকার এখন ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে রাখার জন্য ক্ষুধাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ত্রাণ কর্মকর্তারা বলেছেন যে জান্তা এএ-অধিকৃত অঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের "ক্ষুধার্ত"  রাখার চেষ্টা করছে। বিষয়টিকে বারবার জাতিসংঘের কর্মকর্তা এবং অধিকার রক্ষা বিষয়ক গোষ্ঠীর দ্বারা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

একজন জ্যেষ্ঠ সহায়তা কর্মকর্তা বলেন, “এটা পরিষ্কার যে জান্তা খাদ্যকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। ”


খিন মার চো রাখাইনের একটি মঠে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি জানান, রাখাইন রাজ্যের বাইনে ফিউ গ্রামে আক্রমণ চালিয়ে সব পুরুষকে আটক করে জান্তা সেনারা। খিনের ভাই ও অন্য প্রতিবেশীদের গুলি করে হত্যা করে তারা। খিন মার চোর মতো জীবিতরা আঞ্চলিক রাজধানী সিত্তের ঠিক বাইরে একটি মঠে পালিয়ে গেছেন। সেখানে এক ভিক্ষু প্রায় ৩০০ মানুষকে খাওয়ানোর জন্য সংগ্রাম করছেন।

এদিকে সামরিক জান্তা বলেছে, তারা আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সহায়তা গোষ্ঠীগুলোর প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেই এমন এলাকায় সাহায্য কর্মীরা নিরাপদে চলাচল করতে পারবে না।  

জান্তার মন্তব্যকে অজুহাত হিসেবে বলছেন সহযোগীতায় নিয়োজিত কর্মীরা। একজন জ্যেষ্ঠ সাহায্য কর্মকর্তা বলেন, “আমাদের নিরাপত্তার জন্য জান্তার প্রয়োজন নেই। ”

জাতিসংঘের তথ্যমতে, রাজ্যটির ৮ লাখ ৭৩ হাজার মানুষের খাদ্যসহায়তা প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এক-চতুর্থাংশেরও কম এ সহায়তা পেয়েছে। সূত্র: সিএনএন

news24bd.tv/এসএম