অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে মিতু

ছবি সংগৃহীত

অবৈধ সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছে মিতু

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

আত্মহত্যাকারী চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশের স্ত্রী তানজিলা হক চৌধুরী মিতু প্রেমিকদের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেছেন। বিয়ের পরও একাধিক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মিতু এমন তথ্য দিয়েছেন।  

শুক্রবার সকালে চান্দগাঁও থানায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম।

তিনদিনের রিমান্ড শেষে আজ তাকে আদালতে হাজির করা হবে।

জিজ্ঞাসাবাদে মিতু জানান, আমেরিকায় অবস্থানকালে উত্তম প্যাটেল নামে এক বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে তিনি একাধিকবার অনৈতিক সম্পর্ক গড়েছেন।  এর আগে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের বয়ফ্রেন্ড ডা. মাহাবুবুল আলমের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন মিতু। তবে শোভন নামে চুয়েটের এক ছাত্রসহ একাধিক ছেলেবন্ধু থাকার কথা স্বীকার করলেও মিতু তাদের সঙ্গে শুধু বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চান্দগাঁও থানার এসআই আবদুল কাদের জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের প্রথমদিন মিতু বিয়ের পর বিভিন্নজনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকার কথা জানালেও শারীরিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন।

শুক্রবার সকালে তাকে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম। জিজ্ঞাসাবাদে মিতু বিয়ের পর দু’জনের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, ছয়জনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনা মামলা হলেও এখন পর্যন্ত শুধু মিতুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পলাতক পাঁচ আসামির মধ্যে রয়েছেন- মিতুর বাবা আনিসুল হক চৌধুরী ও মিতুর বয়ফ্রেন্ড ডা. মাহাবুবুল আলম। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে মিতুর মা শামীমা শেলী, ছোট বোন সানজিলা হক চৌধুরী আলিশা এবং উত্তম প্যাটেল আমেরিকায় অবস্থান করছেন।

৩১ জানুয়ারি ভোরে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্ক মেনে নিতে না পেরে নিজ শরীরে ইনজেকশান পুশ করে আত্মহত্যা করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক মোস্তফা মোরশেদ আকাশ।  

মৃত্যুর আগে তিনি ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাসে প্যাটেল, মাহাবুবসহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ আনেন এবং তার আত্মহত্যার জন্য স্ত্রী দায়ী বলে উল্লেখ করেন।


(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)

সম্পর্কিত খবর