জ্বালানি তেলের বকেয়া মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে বিপিসি

সংগৃহীত ছবি

জ্বালানি তেলের বকেয়া মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে বিপিসি

অনলাইন ডেস্ক

জ্বালানি তেলের বকেয়া মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। বিপিসি সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২২ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৪৭ কোটি ৬১ লাখ ডলার বকেয়া জমেছে বিপিসির। এতে জ্বালানি তেলের বিল পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে বিপিসি।

এদিকে ব্যাংক থেকে বৈদেশিক মুদ্রা ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।

আবার বকেয়া বাড়তে থাকায় তেলের জাহাজ পাঠাতে চাইছে না কোনো কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান। বিল পরিশোধের জন্য জ্বালানি তেল সরবরাহকারী বিদেশি কোম্পানিগুলোর চাপ বাড়ছে বিপিসির ওপর।


বকেয়া বিলের মধ্যে ১৮ কোটি ৫৬ লাখ ডলার পাবে সিঙ্গাপুরভিত্তিক কোম্পানি ভিটলে। চীনের কোম্পানি ইউনিপেক পাবে প্রায় ৫ কোটি ৮৬ লাখ ডলার।

আরব আমিরাতের ইনক পাবে ৫ কোটি ৭১ লাখ ডলার। ৪ কোটি ৬৯ লাখ ডলার পাবে ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি।  মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল পাবে ২ কোটি ১৮ লাখ ডলার। এবং ভারতের আইওসিএল পাবে আড়াই কোটি ডলার।

এছাছাও ৮ কোটি ডলারের বেশি পাবে আমদানি মূল্য পরিশোধে বিপিসিকে নিয়মিত ঋণসহায়তা দেয়া ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের সহযোগী সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইটিএফসি)।  

গত মাস জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সরকার পরিবর্তন ঘিরে দেশে অস্থিতিশীল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। কিছুদিন বন্ধ রাখা হয়েছিল ব্যাংকও। এতে বকেয়া পরিশোধের পাশাপাশি ঋণপত্র খুলতেও জটিলতার মুখোমুখি হয়েছে বিপিসি।  

প্রতি মাসে ৫ লাখ টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল ও ১ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আনতে ১৭ থেকে ১৮টি ঋণপত্র খোলার দরকার হয় বিপিসির। ডলারে ঋণপত্র খুলতে ব্যাংকগুলো নিয়মিত গড়িমসি করে। একটি ঋণপত্রের মূল্য পরিশোধে ২৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগছে বলে জানিয়েছে বিপিসি সূত্র।

বিপিসির পরিচালক (অপারেশন) অনুপম বড়ুয়া বলেছেন, সরবরাহকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে। একটা বিশেষ পরিস্থিতির কারণে দেনা পরিশোধে দেরি হওয়ার বিষয়টি তাদের বোঝানো হয়েছে। ধীরে ধীরে তাদের বিল পরিশোধ করার কথাও বলা হয়েছে। দীর্ঘ ব্যবসায়িক সম্পর্কের কারণে তারা তেল সরবরাহ বন্ধ করবে না

এদিকে সচিবালয়ে মঙ্গলবার  বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এসময় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আমদানি বিল ২২০ কোটি ডলার বকেয়া পড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিশ্বব্যাংককে বকেয়া পরিশোধে ১০০ কোটি ডলার প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান তিনি।  

আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেলে ১০০ কোটি ডলার প্রদানের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।  

news24bd.tv/এসএম

এই রকম আরও টপিক