বন্ধুকে উদ্ধার করতে গিয়ে খুন

খুন

বন্ধুকে উদ্ধার করতে গিয়ে খুন

যশোর প্রতিনিধি

বন্ধু বাপ্পা বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাদের আটকে ব্লাকমেইল করে চাঁদা দাবি করা হয়। বন্ধুর ফোন পেয়ে উদ্ধার করতে যান আবদুল্লাহ আল মামুন (৩২)। সেখানে ছুরিকাঘাত ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।

এসময় আহত হয়েছেন আরও দুজন। এ ঘটনায় যশোর কোতয়ালি থানায় নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে।  

রোববার সন্ধ্যায় যশোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বিফ্রিং এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

পুলিশ জানায়, ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় যশোর শহরতলীর শেখহাটি জামরুলতলা তারা মসজিদ জোড়া পুকুরপাড়ে ছুরিকাঘাতে আবদুল্লাহ আল মামুন নিহত হন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হন। এদের মধ্যে একজনকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।  নিহত মামুন যশোর শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের মৃত আবদুর রবের ছেলে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনসার উদ্দিন জানান, মামুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মা বকুল খাতুন কোতয়ালী থানায় নয়জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। এরমধ্যে চারজনকে আটক করা হয়েছে।

তারা হলো- যশোর শহরের ঘোপ এলাকার  আবদুস সবুর খোকার ছেলে সুজন ওরফে ছোট সুজন (১৬), সদর উপজেলার শেখহাটি খাঁপাড়া এলাকার তাজু শেখের ছেলে তামিম রেজা (১৮), সদরের শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার রেজাউলের ছেলে ফয়সাল (১৬) ও হারুন শেখের ছেলে সুমন (১৬)।

বাকী পাঁচ আসামি হলো- শেখহাটি জামরুলতলা এলাকার সাগর (১৬), ইমন (১৬), মঞ্জিল (১৭), হৃদয় (১৮) ও খানজাহান (১৮)।  

বিফ্রিং এ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘ক’ সার্কেল গোলাম রব্বানী বলেন, যশোর শহরতলীর শেখহাটি জোড়া পুকুর এলাকায় বাপ্পা নামের এক যুবক বান্ধবীকে নিয়ে ঘুরতে যান। সেখানে ফয়সাল, সাগর ও হৃদয় নামে কয়েকজন যুবক তাকের আটকে ব্লাকমেইল করে। তারা টাকা দাবি করে। বিষয়টি ফোনে তার বন্ধুদের জানায়। তারা সেখানে গিয়ে সাগরকে মারতে গেলে তার মা শেফালি বেগম ঠেকাতে গিয়ে ছুরিকাহত হন। এরপর সাগরের সঙ্গীরা বাপ্পার বন্ধু মামুন ও আরিফকে ছুরিকাঘাত করে। এদের মধ্যে মামুন মারা যান। আরিফকে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আনসার উদ্দিন ও আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এরপর অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তার হত্যার দায় স্বীকার করেছে।

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/রিপন/তৌহিদ)

সম্পর্কিত খবর