ইলিশ রপ্তানি নিয়ে দুই উপদেষ্টার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

সংগৃহীত ছবি

ইলিশ রপ্তানি নিয়ে দুই উপদেষ্টার পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতে ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে দুই উপদেষ্টা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন। মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত তাদের নয়। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাদের সিদ্ধান্তে এখন অটল তারা।

অন্যদিকে রোববার সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। সর্বোচ্চ মহলে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, এ বছর দেশে ইলিশ আহরণ হয়েছে ৫ লাখ ৩৭ হাজার মেট্রিক টন। মৌসুম হলেও শুরু থেকেই ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।

অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা শুরু থেকেই বলছিলেন, রপ্তানি নয়, আগে দেশের মানুষকে কম দামে ইলিশ খাওয়াতে হবে। কিন্তু সকল জল্পনার অবসান ঘটিয়ে ভারতে রপ্তানি হতে যাচ্ছে ৩ হাজার টন ইলিশ।

উপদেষ্টার এই কথার কিছুদিন না যেতেই ২১ সেপ্টেম্বর ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত জানায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর ফলে আরেকদফা দাম বাড়ার সুযোগ নিল ব্যবসায়ীরা।

এ নিয়ে মৎস্য প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা জানালেন, দেশের মানুষকে কমদামে ইলিশ খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাননি তিনি। ভারতে ইলিশ রপ্তানির সিদ্ধান্ত তার মন্ত্রণালয়ের নয়।

এদিকে, বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি হয়েছে তা চাঁদপুর ঘাটের একদিনের ইলিশও না। রপ্তানির বিপক্ষে যারা বলে তারা ইমোশনাল। ভারতের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা সর্বোচ্চ মহল থেকে আসছে।

তিনি জানান, ইলিশ রপ্তানিতে বাণিজ্যিক সুবিধা আছে। ফরেন কারেন্সি আসে জানিয়ে ডক্টর সালেহ উদ্দিন বলেন, ভারতে ইলিশ রপ্তানিতে বাহবা পেয়েছি।  রপ্তানিতে গ্রেটার ইন্টারেস্ট আছে।

news24bd.tv/FA