গত ২০শে সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সকাল ১১ টায়, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের চার জন সদস্য তাহমিনা খানম, সামিনা লুৎফা, তাসনীম সিরাজ মাহবুব এবং রুশাদ ফরিদী ফজলুল হক হলের প্রভোস্ট এবং চারজন হাউস টিউটরের সাথে হলের প্রভোস্টের কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতের মূল কারণ ছিল সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখে ফজলুল হক হলে ছাত্রদের দ্বারা সংঘটিত একটি হত্যাকাণ্ড সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ।
শিক্ষক নেটওয়ার্কের সদস্যরা প্রথমেই প্রভোস্ট মহোদয় এর কাছে জানতে চান পুরো ঘটনার সময় হল প্রশাসনের কি ভূমিকা ছিল। প্রোভোস্ট জানান ঘটনার দিন তিনি বেশ ক্লান্ত ছিলেন তাই সন্ধ্যাবেলায় ঘুমিয়ে পড়েন এবং পরের দিন সকালে ঘটনার কথা জানতে পারেন।
আর এদিকে দায়িত্বরত ১১ জন হাউস টিউটরের মধ্যে মাত্র ৪ জন ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন। এই চারজন হাউস টিউটর পরিস্থিতি সামলাতে পারছিলেন না। তখন প্রক্টর অফিসে বার বার ফোন করা হলেও প্রক্টরকে পাওয়া যায় না।
এরপর মোবাইল টিমের এম্বুলেন্সে করে হাউস টিউটরা গুরুতর আহত ব্যক্তিটিকে হাসপাতাল পৌঁছে দিয়েই চলে আসেন। হল প্রশাসনের কেউ আর হাসপাতালে ছিল না যখন তিনি সেখানে মারা যান। তারপরেও এই চারজন হাউজ টিউটর অন্তত ঘটনা স্থলে ছিলেন। কিন্তু বাকি আরও সাতজন হাউস টিউটররা ঘটনার সময় বা তারপর থেকে প্রভোস্টের নির্দেশ সত্ত্বেও একবারও দেখা করতে আসেন নি।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে নেটওয়ার্কের সদস্যেদের সাথে উপাচার্য মহোদয়ের সাক্ষাৎ হয়। সেখানে নেটওয়ার্কের শিক্ষকেরা ফজলুল হক হল পরিদর্শনে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। সেই সাথে উনারা প্রভোস্টের অবিলম্বে অপসারণ দাবি করেন এবং অনুপস্থিত হাউস টিউটরদের ব্যাপারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। এছাড়াও প্রক্টর অফিসের কর্ম তৎপরতা আর সক্ষমতা আরও কিভাবে বাড়ানো যেতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা করেন।
উপাচার্য মহোদয় নেটওয়ার্কের সদস্যদের কর্মতৎপরতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং পুরো ঘটনার বিষয়ে এই শিক্ষকদের পর্যবেক্ষণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বেশ কাজে আসবে বলে মনে করেন।
news24bd.tv/কেআই