ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলি, ২ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার    

ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলি, ২ পলাতক আসামি গ্রেপ্তার    

নিজস্ব প্রতিবেদক

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গুলি চালিয়ে নিরীহ ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার পলাতক দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। বুধবার রাতে রাজধানী উত্তরার ৫ নম্বর সেক্টর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সজল মাহমুদ অনি (৩৭) ও শ্যামল মাহমুদ অঞ্জন (৩৪) নামের হত্যা মামলার ওই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তারা দুজনই উত্তরা পশ্চিম ও যাত্রাবাড়ি থানায় দায়েরকৃত মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং সহোদর ভাই বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদককে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্পের মেজর খন্দকার জাহিদুল হক।

গ্রেপ্তার আসামিদের রাতেই উত্তরা পশ্চিম থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

জানা যায়, গ্রেপ্তার সজল ও শ্যামল দুজনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে যাত্রাবাড়ি এলাকায় মাহমুদুল হাসান জয় (১৫) নামের এক স্কুলছাত্র হত্যা মামলার আসামি।  

গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ি শনির আখড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের গুন্ডাবাহিনীর গুলিতে প্রাণ হারায় ওই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৩ জনকে আসামি করে নিহত মাহমুদুল হাসানের বাবা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে সিএমএম কোর্টে আসামিদের বিরুদ্ধে পিটিশন হত্যা মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৬৪৫/২০২৪)।

গ্রেপ্তারকৃতরা ওই মামলার ২৪ ও ২৭ নম্বর আসামী।

সূত্র জানায়, ৫ আগস্টের পর থেকে সজল এবং শ্যামল পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি তারা উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরের ১/এ নং রোডের বাসায় ফিরলে গোপণ সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। এসময় তাদেরকে ২৩ চন্দ্রিমা নামের ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।  

অপরদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গ্রেপ্তার ওই দুই আসামি নিজেদের ফেসবুক একাউন্ট থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও সাধারণ ছাত্র-জনতাকে উদ্দেশ্য করে একাধিক হুমকিমূলক পোস্টের স্ক্রিনশট পাওয়া গেছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় চাঁদাবাজি, মারপিট ও শ্লীলতাহানি চেষ্টার মামলা রয়েছে।

এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন, যৌথ বাহিনীর অভিযানে আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

news24bd.tv/TR