টানেল নেটওয়ার্ক ও মিসাইল ভান্ডার রক্ষায় সক্রিয় হিজবুল্লাহ

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধকৌশল

টানেল নেটওয়ার্ক ও মিসাইল ভান্ডার রক্ষায় সক্রিয় হিজবুল্লাহ

অনলাইন ডেস্ক

চেইন অব কমান্ড, সুদৃঢ় টানেল নেটওয়ার্ক এবং গত এক বছরে সঞ্চিত বিশাল অস্ত্রভান্ডারই ইসরায়েলের নজিরবিহীন হামলার বিরুদ্ধে হিজবুল্লাহকে টিকে থাকতে সাহায্য করছে বলে জানিয়েছেন লেবাননের শিয়া যোদ্ধা গোষ্ঠীটির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত তিনটি সূত্র। খবর রয়টার্সের

গত সপ্তাহ থেকে হিজবুল্লাহর ওপর ক্রমাগত হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। যেখানে শীর্ষ কমান্ডারদের লক্ষ্যবস্তু বানানো থেকে শুরু করে বুবি-ট্র্যাপযুক্ত পেজার এবং ওয়াকি-টকির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।

এতে হিজবুল্লাহর ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

গত শুক্রবার হিজবুল্লাহর রাদওয়ান ফোর্সের প্রতিষ্ঠাতা ও কমান্ডার ইব্রাহিম আকিলকে হত্যা করে ইসরায়েল। সেই সঙ্গে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) লেবাননে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সহিংসতার দিন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, যেখানে লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ৫০ শিশুসহ ৫৬০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে ইসরায়েলি বিমান হামলায়।

ইসরায়েলের সামরিক প্রধান হেরজি হালেভি বলেন, আকিলের মৃত্যুর ফলে হিজবুল্লাহর অভ্যন্তরে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।

ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ইতিমধ্যে হিজবুল্লাহর হাজার হাজার রকেট ও শেল ধ্বংস করেছে।

তবে হিজবুল্লাহর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত দুটি সূত্র জানায়, গোষ্ঠীটি দ্রুত আকিল এবং অন্যান্য নিহত সিনিয়র নেতাদের পরিবর্তে নতুন নেতৃত্ব নিযুক্ত করেছে। হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসরাল্লাহ আগস্টের এক ভাষণে বলেছিলেন, ‘যখনই কোনো নেতা নিহত হয়, দ্রুত তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। ’

একটি পৃথক সূত্র (হিজবুল্লাহর একজন কর্মকর্তা) রয়টার্সকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের আক্রমণে ১ হাজার ৫০০ যোদ্ধা অক্ষম হয়ে পড়েছে, কারণ তাদের অনেকে অন্ধ বা হাত হারিয়েছে। যদিও এটি একটি বড় আঘাত, তবে এটি হিজবুল্লাহর মোট ক্ষমতার একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে হিজবুল্লাহর ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার যোদ্ধা আছে বলে বলা হয়েছে। তবে নাসরাল্লাহ দাবি করেন, তাদের কাছে ১ লাখেরও বেশি যোদ্ধা রয়েছে।

news24bd.tv/SHS