অন্তরকে বলা হয় দেহের নেতা ও সর্দার। অন্তরের সুস্থতা ও পরিশুদ্ধির ওপর দেহের সুস্থতা ও পরিশুদ্ধি নির্ভর করে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জেনে রাখো, শরীরে একটি গোশতের টুকরা আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, সমস্ত শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখো, সে গোশতের টুকরটি হলো কলব বা অন্তর। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৫২)
অন্তরের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ার অর্থ
অন্তরের পরিশুদ্ধতা নষ্ট হওয়ার অর্থ হলো, বিভিন্ন ধরনের পাপ ও মন্দকাজে লিপ্ত হয়ে নিজের চিন্তা-ভাবনা, কাজ-কর্ম ও মন-মস্তিষ্ককে পাপাচ্ছন্ন করে ফেলা। মনের ইচ্ছা ও চাহিদাগুলো পূরণ করার মাধ্যমে কুপ্রবৃত্তিকে শক্তিশালী করা, জ্ঞান-বুদ্ধি বিসর্জন দিয়ে প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে যাওয়া। এভাবে আল্লাহর দ্বিন, হুকুম ও বিধান থেকে সরে গিয়ে মনচাহি জীবন কাটানো। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৪/৮১৬; তাফসিরে উসমানি,...
মুসলিম নব জাগরণের অন্যতম অগ্রদূত রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদ। যিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত কবি, গল্পকার ও প্রাবন্ধিক। ইসলামী চিন্তাচেতনার অত্যাধিক প্রভাব আর প্রচুর আরবি ও ফারসি শব্দমালার ব্যবহার ছিল ফররুখ রচনাবলীর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। ১৯ অক্টোবর কবির ৫০ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
তিনি নিজ সাহিত্যকর্মে মুসলিম পুনর্জাগরণের প্রচেষ্টা ও ইসলামী চিন্তাচেতনার বাহক হলেও তার কাব্যকৌশল, শব্দচয়ন এবং বাক্যশৈলি ছিল অনন্য বৈশিষ্টে সমুজ্জ্বল। আরবি, ফারসি ও আধুনিক বাংলার বহুমাত্রিক ব্যবহারে প্রণিত অনবদ্ধ রচনাশৈলিতে মুগ্ধ হয়ে বিভিন্ন জন বিভিন্নভাবে ফররুখ আহমদকে মূল্যায়ন করেছেন। কেউ ইসলামী রেনেসাঁর কবি আবার কেউ মুসলিম নবজাগরণের কবি কেউ মানবতাবাদী কবি শিরোনামে চিত্রায়িত করেছেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি দৃঢ়ভাবে ইসলামী আদশের্র অনুসারী ছিলেন। এ কারণেই তিনি মুসলিম জাতির...
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা.)। তিনি ও তাঁর পবিত্র জীবনধারা সর্বযুগে সবার জন্য অনুকরণীয়, অনুসরণীয়। তাঁর জীবনধারা, আচার-ব্যবহার সবকিছু আদর্শস্বরূপ। তিনি খাবার গ্রহণেও যথেষ্ট সতর্ক ছিলেন। সর্বদা পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণ করতেন। তাঁর প্রিয় খাবারের তালিকায়ও আছে পুষ্টিকর খাবার। আজ আমরা তাঁর প্রিয় খাবারগুলো সম্পর্কে জানবো।
খেজুর
আরববাসীর প্রধান খাদ্য খেজুর ও রুটি। মহানবী (সা.) খেজুর খেতে পছন্দ করতেন। খেজুর সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরা। আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, আমি রাসুল (সা.)-কে বার্লির এক টুকরো রুটির ওপর একটি খেজুর রাখতে দেখেছি। তারপর বলেছেন, এটিই সালন-মসলা। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৩০)
মহানবী (সা.) আরো বলেছেন, যে বাড়িতে খেজুর নেই, সে বাড়ির অধিবাসীরা অভুক্ত। (আবু দাউদ, হাদিস : ৩৮৩১)
খেজুরে আছে খনিজ লবণ, যা শরীর সতেজ...
মানুষ সামাজিক জীব। সমাজে চলতে গেলে কখনো কখনো অন্যের সহযোগিতা প্রয়োজন হয়। এই সহযোগিতার একটি পর্যায় হলো ঋণের আদান-প্রদান। পারস্পরিক সাহায্য-সহযোগিতা ও অন্যের প্রয়োজনে এগিয়ে আসা অর্থনৈতিক সংকটে নিপতিত ব্যক্তিকে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে তাকে বিশেষ সহায়তা করা ইসলামী সমাজ ব্যবস্থার একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য।
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা মানুষকে উত্তম ঋণ প্রদানের প্রতি যেমন উৎসাহ প্রদান করেছেন, তেমনিভাবে ঋণ আদায়ের ব্যাপারেও দিয়েছেন জোরালো নির্দেশ।
পবিত্র কোরআন মাজিদে আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা বলেছেন, মৃত ব্যক্তির সম্পদ বণ্টন ও অসিয়ত পালনের আগেই যেন তার ঋণ পরিশোধ করা হয় (সুরা নিসা-১১ থেকে ১৪)। নবীজি (সা.) তাঁর সাহাবিদের জানাজা নামাজ পড়াতেন না, যদি তার ঋণ অপরিশোধিত থাকত (বুখারি)। ঋণ প্রদান একটি নেকির কাজ, যার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে, ঋণ...