এখন যেমন মীম নামটা মেয়েদের খুব বেশি হয় তখন মৌটুসি নামটি মেয়েদের বেশি রাখা হতো। ঢাকার হলিক্রস কলেজের মৌটুসি নামের বিজ্ঞান বিভাগের একজন ছাত্রী ছিলেন। তার সাথে জীবনে মাত্র একবার দেখা হয়েছে । কিন্তু তিনি আমার জীবনে গভীর একটি বেদনা রুয়ে রেখেছেন। মৌটুসির কলেজের বায়োলজির শিক্ষক যে মিস, তিনি আমাকে খুব পছন্দ করতেন । মিস সিরাজগঞ্জ যাবেন আমাকে সাথে নিয়ে । যে বার যমুনা ব্রীজ ওপেন হয়েছিলো, সে সময়কার এই ঘটনা। খুব সকালে সকাল আমি মিসএর বাসায় এলাম। এবং একটু পরেই আমরা একটা বেবি ট্যাক্সি নিয়ে উত্তরার উদ্দেশ্য রওনা হলাম। তখন উত্তরা ছিলো মাঠ- খেতের ভিতরে সবেমাত্র গড়ে উঠতে থাকা একটা আবাসিক এলাকা । একটা চারতলা আন্ডার কনস্ট্রাকশন বাড়িতে এসে আমারা বেবি ট্যাক্সি যাত্রার সমাপ্তি টানলাম। বাড়িটি মিসের ছাত্রী মৌটুসিদের। এখানে এসেই জানলাম মৌটুসির দাদাবাড়ি...
মৌটুসির মৃত্যুর আগে
মৃগাঙ্ক সিংহ
রহমতের স্মৃতিগুলো
রনি আহম্মেদ
বিজন ধ্যানকেন্দ্রী দেয়াল পত্রিকার যাত্রা শুরু হয় জীবিত বসন্তের প্রথম কলি যেবার প্রস্ফুটিত হলো চার ফেরেশতার নামে , গাউসুল আজম হজরত কিবলার বাণী কাল্ব মহলে সাজিয়ে মদিনা মুল্লুকের আতর দান থেকে আগত জান্নাতের সুবাস , সেবার বৃষ্টি হলো যেন নূহ নবীর কাল তোমদের স্মরণ করে । বাগিচা ভরা প্রেমের চিঠি , কোনোটা লেখা অশ্রুতে আবার অন্যটা আফগানী বেদানার লাজ রাঙা কপোলের কালিতে । বলো দেখি প্লেন মসজিদের আজান কবে তুমি শেষ শুনছিলে ? হায় দুনিয়ায় বেড়াতে আসা আত্মাগুলোর সব বাসনা যদি পূরণ হত যেভাবে পূর্ণ হয় অসীম দুঃখের সরোবর ,জার নিকোলাসের রাজহাসে আর রাণী বিলকিসের পোষা মেষশাবকের দল মিহি সুরে ডেকে গেলো সান্ধ আসমানের কোল ঘেঁষে , মনে রেখ যাবতীও প্রেম তোমাকে নিয়েই হলো আমার । আমাদের সাবমেরিন যখন একশো তলা ভবনটির মাথায় , তখনই একটা ফোন কল আসে , কে যেন স্বপ্ন দেখেছে উড়ন্ত কোটি...
রহমতের স্মৃতিগুলো
রনি আহম্মেদ
রনি আহম্মেদ আল্লাহ পাক এর পথ যিনি অনুসরণ করেন তিনি শুধু নিরপেক্ষ । সৃষ্টির পথে কোনো নিরপেক্ষতা নাই । সৃষ্টি পরস্পর নির্ভরশীল ও কলহরত । আল্লাহ মহান । লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহ মুহাম্মদুর রাসূল আল্লাহ । অভূতপূর্ব বছরগুলো ছিলো পাতাল পুরীর সিন্দুকে বন্দি , আর আল্লাহ পাকের নির্দেশে দূরভিত হলো অন্ধকারের গাঢ় পর্দা । বিজন ধ্যাণ কেন্দ্রী দেয়াল পত্রিকার সাতশো বছর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে আমরা অনেক ভালোবাসলাম , কৃষ্ণচূড়ার দীপশিখা জ্বলা আলোতে রাতের রাস্তা ভরে গেল। লুসি বলল, দেখতে দেখতে ৭০০ বছর চলে গেল ,অথচ মৃতরা কেউ কিন্তু ফিরল না । করিম বলল , দেখো এভাবেই রাতের আকাশ সাজানো হয় , নক্ষত্রের অবিরাম জন্ম মৃত্যু , কী অপুরুপ দৃশ্য , তুমি তো জানোই, ক্র্যাব নেবুলায় যখন আমাদের মহাকাশ যান নষ্ট হয় , তুমি নিকট তম সুপারনোভার সোনালি , গোলাপি ধাতব আলোতে কী বলেছিল মনে আছে ?...
তাসনুভা অরিনের পাঁচ কবিতা
তাসনুভা অরিন
তাসনুভা অরিন ক পৃথিবী প্রয়োজনে পাতা ঝরানোর নাম বৃক্ষ সে পাঁজরে আটকে রাখে পৃথিবী পৃথিবী বললে সমুদ্র না দেখি বৃক্ষ আর মাটির কাহিনী। খ একদিন জনপদ চলে যাবে বৃক্ষের দখলে বাঘেরা ভেঙ্গে দেবে চিড়িয়াখানা সার্কাসের তাবু। আমি দেখবো ভীতমানুষ, পরাজিত অহম। আমি সৃষ্টি না, ধ্বংস করছি সৃষ্টির অহংকার অমরা স্বপ্নেরা আত্মজা, গহীন ধ্যনের আরতে জাগৃতি- ওম তোমার কুসুম বোটায় দুলে ওঠে নাচের মহিমা এক জন্মের তাণ্ডব - এই কামনাময় বাহু, আগ্নিক আলিঙ্গনে, ফুটছে নতুন চোখ- অমরায়। জন্ম জন্ম নিনাদ ছিল রসোময় কোষে যেন কিছু আত্মহত্যা প্রবণ স্পারম মৃত্যু প্রকোস্ট ভেবে ঢুকে গেল জরায়ুতে। আর গর্ভপাতের রক্তে ধুয়ে যেতে পারেনি বলে গর্ভধারিণীকে রক্তাত্ত করেছিল, অনিচ্ছায়- জন্মদাগ নিয়ে হাঁটছি ছায়া পরিসীম দেখছি চোখের সঙ্গমেও চোখ জন্মে যায় শত।...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর