মৃত্যু অবধারিত। দুদিন আগে অথবা পরে সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ১৮৫) মৃত্যুর স্মরণ মানুষের আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর আনুগত্য এবং পরকালীন মুক্তির পথে পরিচালিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। তাই সর্বদা মৃত্যুর প্রস্তুতি রাখার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। বারাআ (রা.) বলেন, একদা আমরা একটি জানাজায় রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে শরিক ছিলাম। তিনি একটি কবরের পাশে বসলেন, পরে কাঁদতে শুরু করলেন। এমনকি তার চোখের পানিতে মাটি ভিজে গেল। অতঃপর তিনি বলেন, হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা। (তোমাদের অবস্থা) এর মতোই হবে, সুতরাং তোমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করো। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১৯৫) পৃথিবীতে আসার সিরিয়াল আছে, কিন্তু যাওয়ার কোনো সিরিয়াল নেই। দুনিয়ার ব্যস্ততার ভিড়ে যারা আগেভাগে মৃত্যুর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে...
মৃত্যুকে স্মরণ করার উপকারিতা
শরিফ আহমাদ
ইসলামে সমালোচনার আদর্শ রূপরেখা
অনলাইন ডেস্ক
সমালোচনার উদ্দেশ্য হলো কোনো বিষয়ে উন্নতি বা সঠিক পথের দিকনির্দেশনা দেওয়া। সমালোচনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে হতে পারে। শিল্প, সাহিত্য, রাজনৈতিক বিষয়, সামাজিক সমস্যা বা ব্যক্তিগত আচরণসহ আরো অনেক কিছু। সমালোচনার মাধ্যমে আমরা কোনো কিছু ভালোভাবে বুঝতে এবং আরো উন্নত করার সুযোগ পাই। ইসলামের দৃষ্টিতে সমালোচনা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা ন্যায়সংগত, গঠনমূলক ও সদিচ্ছা নিয়ে হতে হবে। নিচে ইসলামে সমালোচনার কিছু আদর্শ রূপরেখা তুলে ধরা হলো সদিচ্ছা ও সৎ উদ্দেশ্য থাকা সমালোচনা করার মূল উদ্দেশ্য হতে হবে সংশোধন করা, অপমান করা বা কারো ক্ষতি করা নয়। আল্লাহ বলেন, তোমরা নেকি ও তাকওয়ার কাজে একে অপরের সহযোগিতা করো, কিন্তু পাপ ও সীমা লঙ্ঘনের কাজে সাহায্য কোরো না। (সুরা : আল মায়িদা, আয়াত : ২) রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কল্যাণ কামনাই দ্বিন। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, কার জন্য কল্যাণ কামনা?...
কবর জিয়ারতকালে যে দোয়া পড়তেন রাসুল (সা.)
অনলাইন ডেস্ক
মৃত্যুর পর মানুষের আবাসস্থল কবর। মুমিনদের সেখানকার অধিবাসীর জন্য দোয়া করতে বলা হয়েছে। রাসুল (সা.) নিয়মিত কবর জিয়ারত করতেন এবং দোয়া করতেন। হাদিসে বর্ণিত একটি দোয়া হলো- السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ، مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ، أنتُم لنا فرَطٌ ونحنُ لَكم تبعٌ، أَسْاَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ. উচ্চারণ : আসসালামু আলাইকুম আহলাদ দিয়ার। মিনাল মুমিনিনা ওয়াল মুসলিমিন। ওয়া ইন্না ইনশাআল্লাহু বিকুম লাহিকুন। আনতুম লানা ফারাতুন ওয়া নাহনু লাকুম তাবউন। আসআলুল্লাহ লানা ওয়া লাকুমুল আফিয়াহ। অর্থ : হে গৃহের অধিবাসী মুমিন ও মুসলিমরা, তোমাদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর ইচ্ছায় আপনাদের সঙ্গে মিলিত হব। তোমরা আমাদের অগ্রগামী এবং আমরা তোমাদের অনুসরণকারী। আমি আল্লাহর কাছে আমাদের ও তোমাদের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করি। হাদিস :...
মুসলমানদের শাম অঞ্চল বিজয়ের ইতিহাস
আলেমা হাবিবা আক্তার
রাসুলুল্লাহ (সা.) তার জীবদ্দশায় আরব উপদ্বীপের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের গোত্রগুলোর এবং শামের বিরুদ্ধে বিজয় লাভের অভিপ্রায় ব্যক্ত করেন। কিন্তু তার জীবদ্দশায় এর খুব সামান্যই বিজয় লাভ করা সম্ভব হয়েছিল। অষ্টম হিজরিতে মুসলিম বাহিনী দক্ষিণ জর্দানের মুতা শহরে একটি অভিযান পরিচালনা করে। প্রকৃত পক্ষে শামে মুসলিম বিজয়ের সূচনা হয়েছিল খলিফা আবু বকর সিদ্দিক (রা.)-এর যুগে এবং তা পূর্ণতা লাভ করে খলিফা ওমর (রা.)-এর শাসনামলে। মুসলিম বিজয়ের তিন পর্যায় শামে মুসলমানদের বিজয় অর্জিত হয়েছিল তিনটি পর্যায়ে। তাহলো ১. প্রথম পর্যায় (১২-১৩ হি.): এই সময়ে শামের প্রত্যন্ত ও গ্রামাঞ্চলগুলো মুসলিমরা বিজয় করে এবং এই অঞ্চলের আরব গোত্রগুলো বশ্যতা স্বীকার করে। ২. দ্বিতীয় পর্যায় (১৩-১৫ হি.): এই পর্যায়ে এসে প্রকৃত সামরিক সংঘাতের সূচনা হয়। এই সময়ে দক্ষিণ ও মধ্য শামের প্রধান প্রধান শহর মুসলমানরা...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত