'এত দিক-নির্দেশনা পৃথিবীর কোনো ভাষণে পাওয়া যায় না'

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

৭ই মার্চের ভাষণের স্বীকৃতি উদযাপন

'এত দিক-নির্দেশনা পৃথিবীর কোনো ভাষণে পাওয়া যায় না'

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বার বার মনে পড়ে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের সেই ভাষণের কথা। বাংলার মানুষের সঙ্গে জাতির পিতার আত্মিক সম্পর্ক এ ভাষণে ফুটে ওঠে। তিনি অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন। তিনি গেরিলা যুদ্ধের নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

শনিবার জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একাত্তরের ৭ই মার্চ দেওয়া সেই ঐতিহাসিক ভাষণকে ইউনেস্কোর স্বীকৃতির রাষ্ট্রীয় উদযাপনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সে দিনের জনসমুদ্রে আমার আসার সৌভাগ্য হয়েছিল। আমরা এসেছি, ভাষণ শুনেছি। দেখেছি সেদিন বাংলার মানুষের উত্তাল তরঙ্গ।

এত দূরদর্শিতা, এতো দিক-নির্দেশনা পৃথিবীর কোনো ভাষণে পাওয়া যায় না।  

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার মন্ত্রে বাঙালি জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেন। আমাদের প্রতিটি অর্জন জাতির পিতার নেতৃত্বে।

শিক্ষা, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের পাশাপাশি দেশকে একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতা আন্দোলন গড়ে তোলেন।

তিনি বলেন, আজকে আমরা আনন্দিত। এ ভাষণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। ৪৬ বছর আগের এ ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়ায় ইউনেস্কো, তার সাবেক পরিচালক, যারা ভোট দিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,  বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘদিন সাতই মার্চের ভাষণ প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। এই ভাষণ এখন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে। ইতিহাস কেউ মুছে ফেলতে পারে না। সত্য ইতিহাস চির ভাস্বর।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিশ্বে এখন আমরা উন্নয়নের রোল মডেল। শিগগিরই এই জাতি অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে। ২০২১ সালে এ দেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশ। ’

সম্পর্কিত খবর