অষ্টগ্রামে কুতুব মসজিদ ও মাজারের কর্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব

ম্যাপ

অষ্টগ্রামে কুতুব মসজিদ ও মাজারের কর্তৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামে কুতুব মসজিদ ও মাজারের কর্তৃত্ব নিয়ে দু'পক্ষের বিরোধ চরম আকার ধারণ করেছে। মারমুখি অবস্থানে দু'পক্ষই। তবে প্রশাসন বলছে পরিস্থিতি এখন শান্ত।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, কুতুব মসজিদ ও মাজারের কর্তৃত্ব নিয়ে মসজিদের ইমাম ও খাদেমদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

গত ২৩ অক্টোবর খাদেমদের সাথে ইমাম ও তার লোকজনের মধ্যে বাক বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ইমাম ও মুয়াজ্জিনের প্রতি তারা মারমুখি হয়ে ওঠে। তারা ইমাম ও মুয়াজ্জিনকে মসজিদ ছেড়ে চলে যাবার জন্যও হুমকি দেয়। পরে এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম মাওলানা আব্দুস সামাদ আজাদ ও মুয়াজ্জিন মো. কডু মিয়া বাদী হয়ে অষ্টগ্রাম থানায় একটি জিডি (নং-১৫৬,তারিখ: ৫/১১/১৭) করেন।
 

জিডিতে খাদেমদের পক্ষে মরচন্দ আলী, রহমত আলী, সাহাবউদ্দিন, আশু মিয়া, হাবিব মিয়াসহ ২০/২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

এ ব্যাপারে অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মোল্লা জানান, সম্প্রতি খাদেমদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগ রায় দেয় এবং রায়ে এ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সভাপতি করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত। তিনি আরও জানান, যাদের পক্ষে রায় হয়েছে, তারা চাচ্ছেন ইমামকে সরাতে। ফলে নামাজ পড়াতেও সমস্যা হচ্ছে। এ অবস্থায় ইমাম নিজ থেকেই সরে যাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। ইমামকে দেওঘর ইউনিয়নে কাজী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই তার ইমাম থেকে সরে গিয়ে কাজী হিসেবে যোগদান করার কথা রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, কুতুব মসজিদ ও মাজার নিয়ে দু'পক্ষের মামলা ছিল। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ একপক্ষে রায় দেন এবং কমিটি গঠন করার নির্দেশনা দেন। কোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক মাজার ও মসজিদের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, অষ্টগ্রামের কুতুব মসজিদ ও মসজিদ সংলগ্ন মাজার প্রায় চারশ বছরের পুরনো বলে জানা গেছে। সরকারের প্রত্নতত্ব বিভাগ কয়েক বছর আগে মসজিদটিকে পুরাকীর্তির নিদর্শন হিসেবে উল্লেখ করে নিয়ন্ত্রণে নেয়।

সম্পর্কিত খবর