চালের আটা, নারিকেল কুচি আর খেজুরের গুড়ের মিশ্রণে তৈরি বিভিন্ন মিষ্টান্ন জাতীয় খাবারের নামই হচ্ছে পিঠা। শীতকালে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিশেষ এই মিষ্টান্ন খাবার পিঠার উৎসব হয়েছে কুষ্টিয়ায়। পৌষের হাড় কাঁপানো শীতে বসুন্ধরা শুভসংঘ কুষ্টিয়ার বন্ধুদের সহায়তায় ইংরেজি বছরের শেষ দিনে আজ মঙ্গলবার পিঠা উৎসব এবং দরিদ্র শীতার্থদের মাঝে শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। কুষ্টিয়া শহরের থানা পাড়ায় শুভসংঘের আঞ্চলিক কার্যালয়ে বিকেলে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে পিঠাৎসব এবং দরিদ্রদের শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এই পিঠা উৎসব এবং শীতবস্ত্র বিতরণের সময় কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান সিনিয়র প্রফেসর ড. সারওয়ার মুর্শেদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের কমান্ডার বীর সুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম টুকু, রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন...
বসুন্ধরা শুভসংঘের পিঠা উৎসবে ২০ ধরনের পিঠার আয়োজন, শীতবস্ত্র বিতরণ
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
ভাঙ্গুড়ায় শুভসংঘের কম্বলে উষ্ণতার হাসি ৩১ পরিবারে
ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
কয়দিন ধরে ঠাণ্ডা বাতাস বইছে। খুব শীত লাগে। বাড়িতে মানুষের দেওয়া পাতলা দুইটা কম্বল আছে। এই কম্বলে শীত যাইতে চায় না। স্বামী কাজকর্ম করতে পারে না। করলেও মানুষ দাম কম দেয়। ল্যাপ বানানোর ট্যাকা নাই। খুব কষ্ট হইতেছে। তাই সবাইরেই কইছিলাম একটা কম্বল দেয়ার জন্য। আমার চাওয়া পূরণ করছে এই ছেলেগুলো। অনেক মোটা একটা কম্বল দিছে। আর শীতে আমাগো স্বামী-স্ত্রীর কষ্ট হবে না। ছেলেগুলা খুব ভালো। এদের মঙ্গল হোক। এভাবেই শুভসংঘের কম্বল পেয়ে আবেগঘন কথাগুলো বলেন মাফিয়া খাতুন। ভূমিহীন মাফিয়া ও তার স্বামী ফনিস দম্পতি পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাথরঘাটা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বসবাস করেন। একই গ্রামের বাসিন্দা ক্যান্সারে আক্রান্ত ছাবদার হোসেন। সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে ছয় সদস্যের সংসার। অভাবের সংসার চালাতে অসুস্থ শরীরেও ভ্যানে যাত্রী পরিবহন করেন...
দেবদূত হয়ে আমার জীবনে এলো বসুন্ধরা শুভসংঘ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমি বিথী। আমার বাবা ছিলেন একজন এতিম মানুষ। অন্যের বাড়িতে থেকে কিছুটা পড়াশোনা করেছে। এরপর আর তার ভাগ্য এগোয় নি, হয়তো দাসত্ব কপালে ছিলো। কিন্তু তার খুব শখ আমাদের পড়াশোনা করানোর। আমি এবং আমার ভাই, আমাদের দুজনকেই এলাকার সব থেকে সেরা স্কুলটায় ভর্তি করান তিনি। কথায় আছে না! শখের তোলা আশি টাকা। খুব মনে আছে, বাবা শীতের সকালে পিঠে করে নালা পাড় করে, সাইকেলে করে স্কুলে রেখে আসতো আমাদের। ট্রাকের আধা পঁচা ফল আনতো রাতে। আর সেই রাতেই ডেকে খাওয়াতো আর বলতো সিজনাল ফল, খেয়ে নে! আমরাও খুশি হতাম। একটা বড়সড়ো ড্রেস কিনে দিতো আর বলতো আগামী বছর পর্যন্ত চালিয়ে নিস। আমরাও সত্যিই চালাতাম। তখন ছোট ছিলাম অভাব কী বুঝতাম না। বাবা মায়ের কাছে শখের যা চাইতাম তাই দিতো কিন্তু খেয়াল করি নাই কিভাবে দিতো। এখন বুঝি। আরও পড়ুন আমার মতো হাজার হাজার অসচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছে...
আমার মতো হাজার হাজার অসচ্ছল শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা শুভসংঘ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আমার জন্ম মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার করমদী নামের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে। কৃষক পরিবারে আমার জন্ম। বাবা জমিতে সবজি চাষ করে সংসারের খরচ জোগাড় করতেন। কিন্তু বাবা অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় কিশোর বয়সেই বাবার পাশাপাশি আমার সংসারের হাল ধরতে হয়েছিলো। স্কুল থেকে ফিরে বাজারে সবজি বিক্রয় করার পর সেই টাকা দিয়েই আমার পড়াশোনার খরচ এবং সংসারের ব্যয়ভার নির্বাহ করতে হতো। আমি ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় ভালো ফলাফল করার কারণে আমার শিক্ষকরা আমাকে ফ্রিতে পড়াতেন। কিন্তু স্কুল ছুটির পর আমাকে বাজারে যেতে হতো এজন্য দিনের বেলা পড়াশোনা করার সুযোগ পেতাম না ফলে রাতের বেলা হেঁটে হেঁটে অনেকদূরে গিয়ে স্যারের কাছে পড়াশোনা করতাম। এভাবে পড়াশোনা করে আমি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হই। তারপর আমার অদম্য ইচ্ছা আর কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর