এক বন্ধু একদিন বলে- তুমি মধ্যবিত্ত, গরীব ঢাকাকে চেনো, বড়লোক ঢাকা দেখোইনি। বিষন্ন চেহারার একটা শপিং মলে ঢুকে একথা বলার মানে বুঝতে পারিনি। সে নিয়ে গেলো একটা দোকানে। চেহারায় সে দোকান আহামরি কিছু নয়। একটা শার্ট দেখিয়ে বন্ধুটি প্রশ্ন করে- এটার দাম কতো? উত্তর আসে এক লক্ষ ষাট। আমি ভুল শুনেছি মনে করি। নিজেই জিজ্ঞাসা করি, কত বললেন? দ্বিতীয়বারে নিশ্চিত হই- ভুল নয়, ঠিক শুনেছি। বিক্রয়কর্মী এগিয়ে এসে বলেন, এটি ইটালীতে তৈরী, পৃথিবীর সবচেয়ে হাল্কা ওজনের শার্ট স্যার! মাথা খারাপ করা দামী জিনিসপত্র দেখে অস্থির লাগতে থাকে। মনে হয়, এ দম বন্ধ করা জায়গাটা থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। বেরিয়ে বন্ধুটিকে প্রশ্ন করি, সে এই দোকানের খবর সে কি করে জানে? জানায়, একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি বিশেষ একটা উপহার কিনে দিতে হবে বলে একদিন এই দোকানে তাকে সাথে করে নিয়ে এসেছিল। অবাক হই। উপহার জোর করে...
শার্টের দাম এক লক্ষ ষাট টাকা, অর্থে পূর্ণ মানুষ নাকি অর্থপূর্ণ মানুষ ?
আফজাল হোসেন

কৃষি খাতে বিনিয়োগের সুযোগ
ড. মো. জামাল উদ্দিন
অনলাইন ডেস্ক

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনকে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই সম্মেলনে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, সিঙ্গাপুর, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ৫০টি দেশের ৫৫০ জন বিনিয়োগকারী অংশ নিয়েছেন। তাঁদের বড় অংশই বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিনিয়োগ সম্মেলনে বাংলা ইউএস এলএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মুমতাজুর রহমান দাউদ বাংলাদেশে ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের যুগান্তকারী বিনিয়োগ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তিনি চট্টগ্রামে ৬০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে একটি সার কারখানা নির্মাণের কথাও বলেন। আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, জমি ও পানির প্রাপ্যতা কমছে এবং এর ওপর আসছে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব। সব মিলিয়ে আগামী দিনের কৃষি খুবই চ্যালেঞ্জিং। দেশের বর্ধিষ্ণু জনগোষ্ঠীর খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা...
‘সেরা সংগঠক’ বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট মো. ইমরুল হাসান
ইকরামউজ্জমান

আমরা আমাদের নিজেদের রাষ্ট্র পেয়েছি ১৯৭১ সালে। এর আগে রাষ্ট্র নামে জাতির এই বৃহত্তর সংগঠনটির সঙ্গে আমাদের পরিচয় ছিল না। এর ফলে আমাদের ক্রীড়াঙ্গনে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবস্থাপনা সব সময় থেকেছে নির্জীব এবং ফ্যাকাসে। এক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা, জবাবদিহি এবং প্রো-অ্যাক্টিভনেস বিষয়টি কখনো আমলে আসেনি। সুযোগও ছিল না। পাকিস্তানিরা অন্য অনেক ক্ষেত্রের মতো প্রথম থেকেই বাঙালি সংগঠকদের ক্রীড়াঙ্গনে দায়িত্বভার ও পরিচালনার ক্ষেত্রে দূরে সরিয়ে রেখেছে। বাঙালিরা সংগঠন গড়ে তোলা ও পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে স্বাধীনতার পর জাতির ভাগ্য নির্ধারণের ক্ষমতা নিজেদের হাতে এলে। শুরু হয় ক্রীড়াঙ্গনে বাঙালির সংগঠনের যুগ। নতুন সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়া। ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি দায়িত্ব, কর্তব্য, ধারণা প্রতিষ্ঠা সংগঠকদের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ এবং চ্যালেঞ্জ। এটি প্রথম থেকেই বোঝা...
পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় সংকটে জনগণের পক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ড. একেএম শামছুল ইসলাম, পিএসসি, জি (অব.)
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের রাষ্ট্রগঠনের ইতিহাসে সশস্ত্র বাহিনী কেবল একটি প্রতিরক্ষা সংগঠন হিসেবে সীমাবদ্ধ ছিল নাবরং এটি হয়েছে জনগণের চেতনার ধারক, সংকটে বিবেকের সেতু এবং রূপান্তরের চালক। আমাদের এই জাতীয় অভিযাত্রায় নানা সময়ে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা যেমন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, তেমনি বারবার তারা জাতীয় ঐক্য, স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ গণতন্ত্রের পথে এক অপরিহার্য সহচর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পার্বত্য চট্টগ্রামবাংলাদেশের এক বিশেষ সাংস্কৃতিক ও ভৌগোলিক পরিসররাষ্ট্রগঠনের সূচনালগ্ন থেকেই একাধিক নিরাপত্তা, পরিচয় এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। ১৯৭০-এর দশকের শেষ দিকে যখন এই অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদ ও সশস্ত্র চ্যালেঞ্জ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে, তখন রাষ্ট্র তার অস্তিত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে আহ্বান জানায়। এই ভূমিকায় সশস্ত্র বাহিনীর অংশগ্রহণ কেবল...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর