কোমলতা ও নম্রতা মানবচরিত্রের অন্যতম সুন্দর ও মহত্ গুণ। এ দুটি গুণ মানুষকে অনন্য উচ্চতায় সমাসীন করে। কোমলতা ও নম্রতার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে ইসলাম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে কোমলতা থেকে বঞ্চিত, সে কল্যাণ থেকেও বঞ্চিত। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৫৯২) সাহাবায়ে কেরাম পারস্পরিক সহানুভূতিশীল ছিলেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে তাদের এ গুণের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, মুহাম্মদ আল্লাহর রাসুল। তাঁর সঙ্গে যারা আছে তারা কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। (সুরা ফাতহ, আয়াত : ২৯) কোমলতা ও নম্রতা আল্লাহ তাআলার পছন্দনীয় গুণ। আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহ কোমল ও নম্র। তিনি কোমলতা ও নম্রতা পছন্দ করেন। আর তিনি নম্রতার কারণে যা দান করেন, তা কঠোরতা কিংবা অন্যকোনো কারণে দান করেন না। (সহিহ...
নম্রতা ও কোমলতা আল্লাহর বিশেষ রহমত
ফয়জুল্লাহ রিয়াদ
জালিমের করুণ পরিণতি
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা
পৃথিবীতে যুগে বহু কুখ্যাত জালিম এসেছিল, যাদের জুলুমের মাত্রা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে তারা নিজেদের খোদা ভাবতে শুরু করেছিলো। তাদের দৃষ্টিতে তত্কালীন যুগে তাদের দমানোর সাহস কারো ছিল না, যা তাদের ঔদ্বত্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তনে তাদের লাঞ্ছনাকর সমাপ্তি পৃথিবী দেখেছে। মহান আল্লাহ বার বার পৃথিবী বাসীকে শিক্ষা দিয়েছেন, জালিমদের দেৌরাত্ম ও অপ্রতিরোধ্য শোডাউন দেখে মুমিনের মনোবল হারানোর কিছু নেই, এটাও মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষা। মুমিনের উচিত, আল্লাহর নাফরমানদের ধন-দেৌলত ও শক্তি সামর্থে ভীত না হয়ে আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ আস্থা রাখা। এবং আল্লাহর নির্দেশিত পথে অবিচল থাকা। নিজেদের কখনোই অসহায় না ভাবা। কারণ আল্লাহ কখনো কখনো জালিমদের অবকাশ দেন, যে অবকাশ তাদের অপরাধবোধ উঠিয়ে নেয়, ফলে তারা দাম্ভিকতার সহিত জুলুম করে, শয়তান...
অর্পিত দায়িত্ব মুমিনকে ভীত করে
মুফতি আবদুল্লাহ নুর
ইবনু শিমাসা (রহ.) বলেন, আমর ইবনুল আস (রা.)-এর মরণোন্মুখ সময়ে আমরা তাঁর নিকটে উপস্থিত হলাম। তিনি অনেক ক্ষণ ধরে কাঁদতে থাকলেন এবং দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। এরূপ অবস্থা দেখে তাঁর এক ছেলে বলল, আব্বাজান! আপনাকে কি রাসুলুল্লাহ (সা.) অমুক জিনিসের সুসংবাদ দেননি? আপনাকে কি রাসুলুল্লাহ (সা.) অমুক জিনিসের সুসংবাদ দেননি? এ কথা শুনে তিনি তঁার চেহারা সামনের দিকে করে বললেন, আমাদের সর্বোত্তম পুঁজি হলো, এই সাক্ষ্য প্রদান করা যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহর রাসুল। আমি তিনটি স্তর অতিক্রম করেছি। ১. যখন আমার চেয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি বড় বিদ্বেষী আর কেউ ছিল না। তাঁকে হত্যা করার ক্ষমতা অর্জন করাই ছিল আমার তত্কালীন সর্বাধিক প্রিয় বাসনা। যদি (দুর্ভাগ্যক্রমে) তখন মারা যেতাম, তাহলে নিঃসন্দেহে আমি জাহান্নামি হতাম। ২. তারপর যখন আল্লাহ...
মহানবী (সা.)-এর সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা
অনলাইন ডেস্ক
নবী করিম (সা.)-এর মহান ব্যক্তিত্ব এমন এক সমন্বিত আদর্শ যেখানে শাসক, রাষ্ট্রনায়ক, সমাজবিদ, প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ এবং অনুপম সংগঠকের গুণাবলি একত্রে পূর্ণরূপে বিকশিত হয়েছে। পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে এই বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে যে তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে নিযুক্ত শাসক ছিলেন এবং এই মর্যাদা তাঁকে রাসুলের দায়িত্বের সঙ্গেই অঙ্গাঙ্গিভাবে প্রদান করা হয়েছিল। এটি কখনোই এমন নয় যে তিনি নিজ প্রচষ্টোয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে তার শাসক হয়ে উঠেছিলেন, কিংবা মানুষ তাঁকে ভোট দিয়ে তাদের শাসক হিসেবে নির্বাচিত করেছিল। রাসুল (সা.)-এর শাসনক্ষমতা ও রিসালাত মূলত একই সত্তার অভিব্যক্তি। একজন শাসক হিসেবে তঁার আনুগত্য করা আল্লাহর আনুগত্যেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাঁর বিরোধিতা করা মানে আল্লাহর সার্বভেৌমত্ব অস্বীকার করা। তিনি নিজেই আমাদের শিখিয়েছেন যে রাসুলের প্রতি...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর