মুমিনের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হলো, মহান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা রেখে তাঁর ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা। যেহেতু আল্লাহ বলেছেন, আমি মানুষ ও জিন জাতিকে আমার উপাসনা করার জন্যই সৃষ্টি করেছি। (সুরা: জারিয়াত, আয়াত: ৫৬) আল্লাহ যেহেতু আমাদের তাঁর ইবাদত করার জন্যই সৃষ্টি করেছেন, আমাদের উচিত তাঁর ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনকেই জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে নেওয়া। তাঁর প্রতিটি আদেশ-নিষেধ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করা। তাঁর অফুরন্ত নিয়ামতের শুকরিয়া জ্ঞাপন করা, এবং তাঁর ওপর অগাধ বিশ্বাস স্থাপন করা। মুমিন যখন তার এই লক্ষ্য ভুলে গিয়ে নাফরমানি শুরু করে। আল্লাহর অগণিত নিয়ামত ভোগ করেও তার ওপর আস্থা রাখতে পারে না, তখনই তার ওপর নেমে আসে ব্যর্থতার আজাব। কিছু লোক সব পেয়েও ব্যর্থ হয়। মুক্ত বাতাসে থেকে ব্য্যর্থতার জিঞ্জিরে বন্দি হয়। যেমনটি হয়েছিল বনি...
মানুষের ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকার কারণ
মুফতি মুহাম্মদ মর্তুজা

মুসলিম শাসনামলে ভারতবর্ষে কৃষি ও শিল্পের উন্নয়ন
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

মহানবী (সা.)-এর সময়েই ভারত-পাক উপমহাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে যায়।খোলাফায়ে রাশেদিন উপমহাদেশে দ্বিন প্রচারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। উমাইয়া শাসক প্রথম ওয়ালিদের গৌরবময় শাসনামলে (৭০৫-৭১৫) মুসলমানদের প্রভাব প্রতিপত্তি পূর্ব ও পশ্চিম দিকে সর্বাধিক বিস্তৃতি লাভ করে। মুসলিম শাসকরা এ অঞ্চলে কৃষি ও শিল্পের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুহাম্মদ বিন কাসিমের শাসনকালে (৭১২-৭১৫) কৃষি ও শিল্পের উন্নয়ন মুহাম্মদ বিন কাসিম সিন্ধু ও মুলতানে কৃষির উন্নয়নের ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি কৃষকদের ওপর ধার্যকৃত রাজা দাহিরের আমলের নিবর্তনমূলক কর বিলোপ করেন। তিনি জমির উত্পাদিত ফল ফসলের ওপর কর ধার্য করেন। কৃষি জমি সেচের ব্যবস্থা করেন। বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য বাঁধ নির্মাণ করেন। মুহাম্মদ বিন কাশিমের সময় জাহাজ নির্মাণ শিল্প, খাদ্য...
মানবপ্রকৃতি ও ঈমানের সেতুবন্ধন
সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভি (রহ.)
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসমান ও জমিন সৃষ্টি করার পর আল্লাহ তাআলা মহাজগতকে এমন প্রকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন যে, যা সমূলে পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাদের পক্ষে আল্লাহর নির্ধারিত সীমা লঙ্ঘন করাও সম্ভব নয়, তাঁর নির্ধারিত নিয়ম পরিবর্তনেরও ক্ষমতা তারা রাখে না। ফলে পৃথিবীতে আল্লাহর নিয়ম ও নির্দেশনায় অনন্তকাল ধরে কোনো পরিবর্তন নেই। বিপরীতে মানুষ আল্লাহর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সৃষ্টি হওয়ার আল্লাহ তাঁকে কিছু ইচ্ছাধিকার দিয়েছেন। মহান আল্লাহ বলেন, আমি তাকে পথের নির্দেশ দিয়েছি, হয় সে কৃতজ্ঞ হবে, না হয় সে অকৃতজ্ঞ হবে। (সুরা দাহর, আয়াত: ৩) ইচ্ছাধিকার পাওয়া মানুষের সাফল্য নিহিত আছে আসমানি হেদায়েত অনুসরণের মধ্যে। আর আসমানি হেদায়েত কিছু বিষয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আসমানি হেদায়েতের প্রথম উপকরণ পূর্ণ ঈমান, যা যাবতীয় নেক আমল, সুন্দর কথা ও পছন্দনীয় অবস্থার মূল ভিত্তি। সমগ্র মানবজীবনে ঈমানের ভূমিকা...
উসমানীয় শাসকরা যে নীতি অনুসরণ করতেন
মাওলানা সাখাওয়াত উল্লাহ

উসমানি সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা উসমানের পুরো জীবনই ছিল আল্লাহর পথে দাওয়াত এবং জিহাদের জন্য নিবেদিত। ধর্মীয় আলেমরা আমিরকে ঘিরে রাখতেন এবং তাকে তার প্রশাসনিক রূপরেখা এবং শরয়ি হুকুম অনুযায়ী রাজত্ব চালানোর জন্য সম্মান করতেন। মৃত্যুর বিছানায় শুয়ে উসমান তাঁর ছেলে উরখান/উরহানকে যে অসিয়ত করেছিলেন তা ইতিহাস আমাদের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছে। তার এই অসিয়ত ছিল একটি নির্দেশনা এবং পথচলার পাথেয়। পরবর্তী উসমানি শাসকরাও তা মেনে চলেছেন। তিনি তাঁর অসিয়তে বলেছিলেন প্রিয় সন্তান আমার, আল্লাহ তোমাকে যে কাজের আদেশ করেননি তা করা থেকে তুমি বিরত থাকবে। শাসনকার্যের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে উলামায়ে কেরামের পরামর্শকে আশ্রয়স্থল হিসেবে গ্রহণ করবে। প্রিয় সন্তান, তোমার অধীনদের যথাবিহীত সম্মান করবে। সৈন্যদলের প্রতি অনুগ্রহ করবে। তোমার সৈন্য ও সমপদের মাধ্যমে...