বসুন্ধরা শুভসংঘ থেকে বৃত্তি পাওয়া একজন ছাত্র আমি। আমার এই সংক্ষিপ্ত জীবনের সঙ্গে বসুন্ধরা শুভসংঘ ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পড়ালেখার অধ্যায় শুরু হয়েছিল নানুর বাড়ি থেকে। আমার জীবন খুব একটা সুখের ছিল না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি আমার বাবা। হঠাৎ বাবার শরীরে ধরা পড়ে এক মারাত্মক রোগ। বাবার কিছু ফসলি জমি ছিল, সেই জমি বিক্রি করে এবং মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করে মোটামুটি সুস্থ হয়ে ফিরে আসেন। এরপর আমাদের পরিবারে প্রচুর অর্থসংকট দেখা দেয়। বাবা আবার চাকরি করতে শুরু করেন। যখন কলেজে পড়ি, বাবা স্ট্রোক করে প্যারালাইজড হয়ে পড়েন। বাবার চাকরিটা আমাকে দেওয়া হয়। সারা রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে আবার সকালে এসে ঘুমিয়ে যেতাম। কারণ আমি একজন নৈশপ্রহরী হিসেবে কাজ করতাম। সারা রাত কাজ করার পর যখনই সময় পেতাম, যেকোনো জায়গায় বসে পড়াশোনা করতাম। এইচএসসি...
নৈশপ্রহরী থেকে আমি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র
উহ্লাচিং মারমা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে মানুষের সেবা করব
মারিয়া আক্তার, তৃতীয় বর্ষ, গ্রীন লাইফ কলেজ অব নার্সিং
নিজস্ব প্রতিবেদক

আমি অত্যন্ত সাধারণ পরিবারের মেয়ে। যখন প্রথম শ্রেণিতে পড়ি, বাবা আমাদের ছেড়ে চিরদিনের জন্য চলে যান। ছোট ছিলাম বলে এত কিছু বুঝতাম না। বাবা না থাকার কষ্ট কেমন জানতাম না। যখন বড় হলাম, চারদিকের পরিবেশ বুঝতে শিখলাম, তখন বাবার জন্য মন খারাপ হতো। আমার লাইফের সুপার উওম্যান হলেন আমার মা। কারণ বাবা মারা যাওয়ার পর মা আমাকে ছেড়ে কোথাও যাননি, বরং পরিবেশ পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে আমাকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। মা না থাকলে হয়তো আমি কখনোই এই পর্যন্ত আসতে পারতাম না। মা আমাকে নার্সিং পড়ার স্বপ্ন দেখান। নার্সিং পড়ার বিষয়টি ভালোই মনে হয়েছিল। কেননা এর থেকে আমার স্বপ্নপূরণ ও মায়ের পাশে দাঁড়ানো দুটিই করতে পারব। সিদ্ধান্ত নিই যে আমি নার্সিংই পড়ব। উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে নিজের স্বপ্নপূরণের উদ্দেশ্যে অচেনা শহরে পা রাখি। নার্সিং অ্যাডমিশন দিই। গভর্নমেন্টে সুযোগ আসেনি। আমার...
মায়ের স্বপ্নপূরণে সহযোগিতা করছে বসুন্ধরা গ্রুপ
ছামিয়া আক্তার, তৃতীয় বর্ষ, গুলশানারা নার্সিং কলেজ
নিজস্ব প্রতিবেদক

নার্সিং একটি মহৎ পেশা। সেবামূলক এই পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে মহান রাব্বুল আলামিনের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের তিন ভাই-বোনের মধ্যে আমি মেজো। মায়ের অনেক ইচ্ছা ছিল আমি একজন নার্স হব। ইন্টারমিডিয়েট পাস করার পর কোনো রকম কোচিং ছাড়াই বিএসসি ইন নার্সিংয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সরকারিতে হয়নি। মা আর বোনের ইচ্ছায় ভর্তি হয়ে গেলাম প্রাইভেট নার্সিং কলেজে। টিউশনি করে বেতন দিতাম, বাবা কোনো রকমে দিতেন বাসাভাড়া আর বোন টিউশনি করে দিতেন সেমিস্টার ফি। এভাবেই মিলেমিশে পড়াশোনার খরচ চলছিল। কিন্তু ২০২৩ সালে আমার মায়ের লিভার ক্যান্সার ধরা পড়ে। এই ঝড়ে আমার পরিবার ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। বলে রাখা ভালো, আমার বাবার হাত ও পা ভেঙে গিয়েছিল একটি অ্যাকসিডেন্টে, যখন আমি দশম শ্রেণিতে পড়ি। কিন্তু আমার বাবার ইচ্ছাশক্তি উনাকে আবার দাঁড় করিয়েছে। মায়ের...
শান্তিগঞ্জে নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে রোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
শান্তিগঞ্জ প্রতিনিধি

নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘ শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার আয়োজনে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১১টায় উপজেলার জয়কলস ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের নারীদের নিয়ে এ সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। বসুন্ধরা শুভসংঘের শান্তিগঞ্জ উপজেলা শাখার উপদেষ্টা সিরাজ মিয়ার সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বসুন্ধরা শুভসংঘ শান্তিগঞ্জ উপজেলা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. নুরুল হক। সচেতনতামূলক সভায় বসুন্ধরা শুভসংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক ছায়াদ হোসেন সবুজের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বসুন্ধরা শুভসংঘের উপদেষ্টা নাজিম উদ্দিন, সাজ্জাদুর রহমান, সহ-সভাপতি ফয়জুল হক, শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মান্নার মিয়া, তৈয়বুর রহমান, আতিকুর রহমান রুয়েব, শাহ আলম, অর্থ সম্পাদক খালেদ হাসান, প্রচার সম্পাদক মো. রুয়েল আহমদ, ক্রীড়া সম্পাদক ফেরদৌস...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর